দেব যে কেবল বর্তমানে টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত বা দক্ষ অভিনেতা এমনটাই নয়। তিনি একজন দক্ষ এমপিও বটে। সিনেমার পাশাপাশি তিনি ঘাটালের বিভিন্ন কাজ কর্ম নিজের হাতে সামলান। দলের যে কোনও অনুষ্ঠানেও দেখা যায় তাঁকে। তবে এবার লোকসভা ভোট যখন দরজায় প্রায় কড়া নাড়ছে তখন কিছুদিন আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল যে তিনি এবার হয়তো রাজনীতি ছাড়তে চলেছেন। আর ভোটে লড়বেন না। তবে প্রধান সিনেমা হলে ৫০ দিন পূর্ণ করল꧋ সদ্যই। সেই সেলিব্রেশনের মাঝেই দেব জানালেন, 'আমি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও, রাজনীতি আমায় ছাড়বে না।' একই সঙ্গে তিনি জানান তাঁর ছবি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী জানিয়েছেন।
রাজনীতি নিয়ে কী বললেন দেব?
তিনি এদিন আরও বলেন যে তিনি ভেবেছিলেন এবার ভোটে দাঁড়াবেন না। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে🎐 ঘাটাল নিয়ে এমন কিছু কথা বলেছেন যে তিনি না করতে পারেননি। ফলে ভোট তিনি লড়ছেন যে সে বার্তা স্পষ্ট ভাবেই দিয়েছেন এদিন অ🍷ভিনেতা।
তবে দেব এদিন আরও জানান যদি কখনও তিনি বেগতিক কিছু দেখেন তাহলে মুহূর্তে দল ছাড়তে পারেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি এদিন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার কাছে রাজনীতি এবং কর্তব্য আলাদা। ১০ বꦇছরের রাজনীতির মধ্যে দল কোনওদিন আসেনি। কখন যদি আসে, দল কেন গোটা বাংলা জানে দেবের হিম্মত আছে রইল ঝোলা চলল ভোলা বলার।' তিনি একই সঙ্গে জানান যতই তিনি তৃণমূল করুন না কেন তাঁর সঙ্গে বিরোধী দলের (বিজেপির) রুদ্রনীল ঘোষ, মিঠুন চক্রবর্তী, প্রমুখের সঙ্গে দারুণ ভালো সম্পর্ক।
দেবের ছবি নিয়ে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
দেব এদিন আরও জানান মুখ্♌যমন্ত্রী দেবের ছবির প্রশংসা করেছেন। জানিয়েছেন, 'দিদি জানিয়েছেন আমার ছবিগুলো ভালো লেগেছে। উনি শেষ টনিক ছবিটি দেখেছেন আমার। জানতে চেয়েছেন প্রধান কোন টিভিতে আসবে। উনি ওই সিনেমাও দেখতে চান। আমি বলেছি যখন আসবে আমি জানাব।'
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান আইডলে বাংলার অনন্যার গানে শুনে সন্তুষ্ট নন জাভেদ আখতার! কেন বললেন, '🍌শিল্প আছে, কিন্তু...'
আরও পড়ুন: বক্স অফিসে লাল সিং চাড্ডার ভরাডুবির পর ভেঙে পড়ে𒉰ন 🍸আমির! কিরণ বললেন, 'ওকে বাজে ভাবে প্রভাবিত...'
প্রধানের ৫০ দিন
𒁃দেব অভিনীত প্রধান ছবিটি ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। অভিজিৎ সেন পরিচালিত এই ছব꧅িটি বক্স অফিসে তুমুল সাফল্য পেয়েছে। দেখতে দেখতে ৫০ দিন পার করে ফেলল ছবি। সেই উপলক্ষ্যে এদিন একটি সেলিব্রেশনের আয়োজন করা হয়। কেক কেটে চলে উদযাপন। এই ছবিতে দেব ছাড়াও ছিলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা শঙ্কর, সোহম চক্রবর্তী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, সৌমিতৃষা কুণ্ডু, প্রমুখ।