৮০-৯০-এর দশকে বহু হিট বাংলা ছব𝄹ি দিয়েছেন, তবে আজকাল আর সেভাবে ছবি বানাতে দেখা যায় না পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীকে। সম্প্রতি 'ওহ লাভলি', ❀‘ঘোষ বাবুর রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান’ নিয়ে ফিরছেন হরনাথ চক্রবর্তী। আপাতত তাই এই দুটি (সিনেমা ও সিরিজ) নিয়েই চর্চা চলছে। সম্প্রতি, আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন পরিচালক।
হরনাথ চক্রবর্তীর কথায়, বয়স ৬০ বছরের গণ্ডি পার করলেও তিনি এখনও শ্য়ুটিং ফ্লোরে আগের মতোই সচল। হরনাথ চক্রবর্তী কথায়, ‘ঘোষ বাবুর রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান’-এর শ্যুটিংয়ের সময় টানা ১৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে শ্যুটিং করেছেন, তবে নতুনদের মধ্যেও নাকি এমন এনার্জি তিনি দেখেন না। সম্প্রতি নবপ্রজন্মের অভ😼িনেতা রাজনন্দিনী পাল ও ঋককে নিয়ে 'ওহ লাভলি' ছবির শ্যুটিং করেছেন। এবিষয়ে হরনাথ চক্রবর্তীর বলেন, ‘জোর গলায় বলছি, তরুণ মজুমদারের পর বাংলায় নতুন অভিনেতাদের আমিই তৈরি করেছি। পেরেছি কিনা জানি না, তবে চেষ্টা করেছি।’
হরনাথ চক্রবর্তী বলেন, বর্🐻তমান প্রজন্মের সঙ্গে, তাঁদের কাজের বিস্তর ফারাক। তবে তিনি পুরনো দিনের শিক্ষাকেই আজকের প্রেক্ষাপটে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। হরনাথ চক্রবর্তীর কথায়, বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাঁদের বিস্তর ফারাক। তাঁদের সময়ে শ্যুটিং ফ্লোরের পরিবেশ হত গুরুগম্ভীর। উদাহরণ টেনে বলেন, সেসময় হয়ত তপন সিনহা স্টুডিয়োতে হাঁটছেন, তখন তাঁরা সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় দাঁড়িয়ে যেতেন, তিনি চলে গেলে, তবেই যেতেন। এটা ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধা। হরনাথ চক্রবর্তীর আফসোস, আজ আর সেসব দিন নেই, সব কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। সেসব ভাবলে তাঁর🔥 মন খারাপ লাগে। হরনাথ চক্রবর্তীর কথায়, এখন বয়োজ্যেষ্ঠ পরিচালকদের সম্মান দেওয়া হয় না। বাঙালিদের মধ্যে সেই মানসিকতা হারিয়ে গিয়েছে।