বয়সের পার্থক্য প্রায় ২৬ বছরের। তবুও সুখী দাম্পত্য দীপঙ্কর দে ও দোলন র♑ায়ের। দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০২০ সালে সইসাবুদ করে বিয়ে করেন জুটি। অভিনেতার বয়স এখন ৭৮ বছর। যদিও দোলন দীপঙ্করের দ্বিতীয় স্ত্রী। দীপঙ্কর দে-র আগের স্ত্রী একজন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান। সেই বিয়েতে দীপঙ্কর দে-র দুই মেয়েও রয়েছে।
সম্প্রতি টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দোলন জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা দীপঙ্করকে আগলে আগলে রাখেন তিনি। কিছুদিন আগে সুগার ফল করায় আচমকা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল অভিনেতাকে। আইসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। পরদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দীপঙ্কর। অভিনেত্রীর কথায়, দীপঙ্কর ‘শিশুসুলভ’। হাজার একটা বায়না করেন। আদরের স্বামীকে ভুলিয়া-ভালিয়ে রাখার চেষ্টা করেন তিনি। আরও পড়ুন: প্রচারের ব্যস্ততা, রোম্যান্স হচ্ছে না, নুস𒀰রতের ভালো ꦺস্বামী হতে কী করতে চান যশ
একই সাক্ষাৎকারে দোলন জানিয়েছেন, একটা বয়সে পৌঁছে গেলে মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানসিক আনন্দ। সেদিকটা খুব বেশি গুরুত্ব দেন তিনি। এমনকি দীপঙ্করকে আউটডোরে একেবারে একা ছাড়েন না তিনি। সঙ্গে তিনি💞ও যান। হেলথ চেকআপ, ডায়েট নিয়ে সব সময় সচেতন থাকেন। দোলনের মতে, এটা তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় শৈশব। বাচ্চাদের মতো স্বামীকেও সারাক্ষণ খুশি রাখার চেষ্টা করেন তিনি𓆏।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সন্তানকে হারিয়েছেন দীপঙ্কর দে। বড় মেয়ে ২০২৩-এর অগস্টে মারা যান, অসুস্থ ছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির অনেকগ🅘ুলো বছর পর দোলনের সঙ্গে অভিনেতার সম্পর্ক ত🗹ৈরি হয়। তাই অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দোলনের কোনওদিন বিবাদ হয়নি।
পুরনো এক🍒 সাক্ষাৎকারে দোলন রায় জানিয়েছিলেন, দীপঙ্কর দে তাঁর প্রথম স্ত্রীকে কোনওদিনই বাঙালি বউ হিসাবে পাননি। তাঁর কথায়, ‘আমার স্বামী কোনওদিনই তাঁর প্রথম স্ত্রীকে পুজো দিতে দেখেননি। বাঙালি বউ কেমন হয়, তা তিনি জানতেনই না। তাই আমি এখন আটপৌরে শাড়ি পরি, পুজো করি, লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ি, তন্ময়♏ হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে দীপঙ্কর। সেই তাকিয়ে থাকায় শান্তি আছে। স্বস্তি পাই এইভেবে যে আমি এটুকু ওকে দিতে পেরেছি।’
দোলন রায়ের কথায়, ওই মানুষ(দীপঙ্কর দে) তাঁকে পরিপূর্ণ করেছেন, প্রয়োজনে শাসন করেছেন। সবটাই তাই তিনি সাদরে গ্রহণ করেছেন। দোলন রায়ের কথায়, তিনি স্বামী দীপঙ্কর দের কাছে ঋণী। তবে তিনি দায়িত্বও নিয়েছেন। দোলন রায় বলেন, ‘চাই মꦉানুষটা সুস্থ থাকুক। আরও কাজ করুক, অমিতাভ পারলে দীপঙ্করও পারবেন। ঠিক যেভাবে দিলীপ কুমারকে ৯৮ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সায়রাবানু। আমিও সেটাই চাই। আমার কাছে দিলীপ কুমার-সায়রা বানু আদর্শ। আমি দীপঙ্করের জীবনে সায়রাবানু হয়ে থাকতে চাই'।