বৃহস্পতিবার এনডিপিএস আইন নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে টেনেই সুশান্ত মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। সতীশ মানেশিন্দের মতে এর জেরে রিয়া বিরুদ্ধে দায়ের মামলা তার সারবত্তা হারাল দাবি তাঁর।বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানায় মাদককাণ্ডে কোনও অভিযুক্ত তদন্তকারী অফিসারদের সামনে যে স্বীকারোক্তি দেবে যা তা অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আদালতে দোষ প্রমাণে চূড়ান্ত বলে বিবেচ্য হবে না। অর্থাত্ সেই বয়ানের ভিত্তিতে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। মানেশিন্দে এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন- ‘এটা একটা বড় সংখ্যক অভিযুক্তকে আলোর পথ দেখাবে’। সুশান্তের জন্য মাদক সংগ্রহ করার অভিযোগ রয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে। প্রেমিক সুশান্তের জন্য শুধু ড্রাগ সংগ্রহই করতেন না, সেই টাকাও বেশ কয়েকবার চুকিয়েছেন রিয়া। এনডিপিএস আইনের ৬৭ নম্বর ধারা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন মহামান্য সুপ্রিকোর্ট। মানেশিন্দে বলেন, বহু অভিযুক্তর শুধুমাত্র এই কারণে সাজা হয় কারণ জেরার সময় জোর করে, চাপ দিয়ে, থার্ড ডিগ্রী প্রয়োগ করে তাঁদের দিয়ে বয়ান রেকর্ড করায় এনসিবি। যার ফলে নির্দোষরাও সাজা পায়। গত ৩৫ বছর ধরে মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে এটা চলে আসছিল'। সুশান্ত মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ড নিয়ে আইনজীবী বলেন- এই মামলায় সকল অভিযুক্তর কাছে প্রায় কোনওরকম মাদক উদ্ধার হয়নি এবং তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে কিছু ইলেকট্রনিক এভিডেন্সের ভিত্তিতে। শুধুমাত্র স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাঁদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিচারপতি রোহিঙ্গতন নির্মাণ এবং নবীন সিনহার এই ঐতিহাসিক রায় বহু নির্দোষ অভিযুক্তকে আলোর পথ দেখাবে'।বিস্তারিত আলোচনার পর সুপ্রিম কোর্ট জানায় এনডিপিএস আইনের ৬৭ ধারায় একজন অফিসার শুধু ‘তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন একটা তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং অভিযুক্তকে পরীক্ষা করবার জন্য’।মাদককাণ্ডে রিয়ার বয়ানের ভিত্তিতেই গত ৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীকে। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও সেশন কোর্টে রিয়ার জামিন খারিজ হলেও গত ৭ অক্টোবর বম্বে হাইকোর্ট রিয়াকে শর্ত সাপেক্ষ জামিনে মুক্তি দেয়। ৭০ পাতার রায়ে বিচারপতি সারাং কোতওয়াল জানিয়েছেন, মাদক কারবারিদের চক্রে জড়িত নন রিয়া। তবে মাদকচক্রে জড়িত শৌভিক চক্রবর্তী। তাই এখনও জেলেইবন্দি রিয়ার ভাই।