কয়েক সপ্ꦇতাহ ধ🅘রে জল্পনা-কল্পনার পর এষা দেওল এবং ভরত তখতানি মঙ্গলবার তাদের বিচ্ছেদ নিশ্চিত করেছেন। দম্পতির তরফে একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে এসেছে সামনে। যেখানে লেখা ছিল ‘সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে’ দুজনে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে, রাধ্যা ও মীরায়া।
২০২০ সালে একটি বই লেখেন এষা। যার নাম ছিল Amma Mia: Stories, Advice and Recipes। যেখানে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন নিজেদের অভিভাবকত্বের সফর। আর সেই বইতেই অভিনেত্রী লিখ🗹েছিলে কীভাবে ২০১৯ সালে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর ‘অবহেলিত’ বোধ করেছিলেন তাঁর স্বামী ভরত।
বইয়ে লেখা হয়, ‘আমার দ্বিতীয় সন্তানের পরে, অল্প সময়ের মধ্যে আমি লক্ষ্য করি যে, ভরত আমার সঙ্গে খামখেয়ালী আচরণ করছে, যেন সে বিরক্ত। আসলে ও অনুভব করেছিল যে, আমি তাঁকে যথেষ্ট মনোꦉযোগ দিচ্ছি না। একজন স্বামীর পক্ষে এইরকম অনুভব করাটা খুবই স্বাভাবিক কারণ সেই সময়, আমি রাধ্যার প্লে স্কুলের এবং মিরায়াকে খাওয়ানো নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। সঙ্গে চলছিল আমার বই লেখা ও আমার প্রযোজনা সংস্থার একাধিক মিটিং। আমি ধীরে ধীরে নিজের ত্রুটি বুঝতে পারি। আমার কাছে ভরত একটা নতুন ব্রাশ চেয়েছিল, আর সেটা আমার মাথা থেকেই বেরিয়ে যায়, কখনও আবার ওর জামা আয়রন 🌃করা হয়নি তো কখনও খাবার ছাড়াই অফিসে চলে গেছে, আমি খেয়ালও করিনি। যদিও এগুলোকে খুব জলদিই শুধরে নিয়েছিলাম।’
‘ভরত আলাদা, সে আমাকে সরাসরি বলে, আমার মুখের উপরে বলে,🌱 যদি সে কোনও সমস্যা অনুভব করে। তবে এমন কিছু পুরুষ থাকতে পারে যারা এতটা আসন্ন নয়। রোম্যান্সকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনার। আমি ভেবে দেখলাম বহুদিন হয়ে গিয়েছে যে আমি তার সঙ্গে ডেট নাইট বা সিনেমার জন্য বাইরে যাইনি। তাই আমি আমার ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে আসার, এবং একটি সুন্দর পোশাক পরে তাঁর সঙ্গে সপ্তাহান্তে বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।’, আরও লিখেছিলেন এষা।
༺হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্র কন্যা এষা ২০১২ সালে পেশায় হিরের ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। ১২ বছর পর সেই বিয়েতেই ধরেছে ভাঙন। অনেকদিন ধরেই খবর ছিল, দুই মেয়েকে নিয়ে মা হেমার সঙ্গে থাকছেন। অন্য দিকে, ভরত নাকি রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। তবে একা নন, কোনও এক ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে। আর টিনসেল টাউনের মুচমুচে খবর﷽কে সত্যি প্রমাণ করল ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের ডিভোর্স ঘোষণার পোস্ট।