ই-কর্মাস সংস্থা ইভ্যালির প্রচারে যুক্ত থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করবার অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রী, সমাজকর্মী মিথিলার বিরুদ্ধে। মিথিলার পাশাপাশি মামলার অপর অভিযুক্ত অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও তারকা-অভিনেতা তাহসান রহমান খান। বাংলাদেশের নামী শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি মিথিলা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীও বটে। এই ইভ্যালিকাণ্ডে সৃজিত-পত্নী যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন, এমনটা দু-দিন আগেই জানিয়েছিল সেদেশের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা। গতকাল অর্থাৎ রবিবার হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন মিথিলা। সেই প্রেক্ষিতেই আজ আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।এদিন বিকেলে আদালত তাঁদের দুজনকে জামিন দিয়েছেন। জামিন পেয়েই মিথিলা বলেন, 'যে মামলা আমার নামে করা হয়েছে, সেটার ভিত্তি নেই। সে কারণেই আমাকে আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত'। ভবিষ্যতেও যেন শিল্পীরা হয়রানির শিকার না হয় ,সেই আশাই যে তিনি রাখছেন জানালেন সেকথাও।সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মিথিলা, তাহসানদের নামে মামলা করেন। যদিও ইভ্যালির প্রতারণা কাণ্ড গত কয়েক মাস ধরেই সংবাদ শিরোনামে। অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলেন তাহসান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। শবনম ফারিয়া প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। সাদ স্যাম রহমানের অভিযোগ ইভ্যালির প্রতারণার সম্পূর্ণ মদত জুগিয়েছেন তাহসান, মিথিলারা। প্রতারিত গ্রাহকের দাবি, মিথিলা-তাহসান-শবনমদের আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার, যা তিনি এখনও উদ্ধার করতে পারেননি।মিথিলা জানিয়েছেন, তিনি নিজেই এই কোম্পানির হাতে প্রতারিত হয়েছে, অযথাই এই প্রতারণার মামলায় তাঁর নাম টেনে আনা হচ্ছে।ফেরা যাক মিথিলার জামিন প্রসঙ্গে। মিথিলা জানিয়েছেন তিনি যখন এই ই-কমার্স সংস্থাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তখন তাঁর গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ লক্ষ। তাঁরা যেভাবে প্রতিষ্ঠানটির ওপর আস্থা রেখেছিলেন, তিনিও ঠিক একইভাবে আস্থা রেখেছিলেন। এবার থেকে যে আরও সতর্ক হয়ে কাজ করবেন, সেব্যাপারেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। সৃজিত-পত্নী বলেছেন, 'গত কয়েকদিন যে পরিমাণ হয়রানির মধ্যে দিয়ে গেছি, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। নতুন করে শিখলাম শিল্পীদের সাপোর্ট করার জন্য আইনজীবীও নেই। যথাযথ এজেন্সি নেই, ম্যানেজার নেই'। বক্তব্য শেষে জোর গলায় মিথিলা জানিয়েছেন এ ব্যাপারে যে পরিমাণ হয়রানির মধ্যে দিয়ে গেলেন, তা তিনি কখনওই 'ডিজার্ভ' করেন না।এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় আগাম জামিন আবেদন করতে পারেননি তাহসান। তবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-য় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইতিমধ্যেই অভিনেতার আইনজীবী মামলার কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করছেন। কবে, কীভাবে জামিনের আবেদন করা হবে, সে সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন বলেই সেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাহসান।