এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম চর্চিত মেগা সিরিয়াল ইচ্ছে পুতুল। মেঘ-ময়ূরী দুই বোন। নীলকে নিয়ে যাবতীয় দড়ি টানাটানি দুজনের। নীল মনেপ্রাণে মেঘকেই ভালোবাসে, তবে শুরু থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা স্বামী হিসাবেই দর্শক দেখেছে নীলকে। মেঘ ভক্তদের চোখে তাই খানিকটা ‘ভিলেন’ সে। বাস্তব জীবনে কিন্তু এক্কেবারে উল্টো মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়। বউকে ঘিরেই তাঁর গোটা জগত, এক কথায় আদর্শ স্বামী মৈনাক। আরও পড়ুন-♚‘রুক্মিণীর উপর আমি বড্ড নির্ভরশীল’, সবার সামনেই গার্লফ্রেন্ডকে জাপটে ধরলেন দেব!
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন মৈনাক। পাত্রী ঐশ্বর্য চৌধুরী। বিয়ের পর দ্বিতীয় পুজো দুজনের। কী পরিকল্পনা অভিনেতার? হিন্দুস্তান টাইমসকে মৈনাক জানালেন, ‘পুজোর কটা দিন কলকাতাতেই আছি। থাকতে চাইনি, তবে বউ বলেছে পুজোটা কলকাতােই কাটাবে। আমরা একাদশীর দিন বেড়াতে যাচ্ছি।’ পুজোর দিনগুলোতে বন্ধুꦬদের সঙ্গে আড্ডা-খাওয়া-দাওয়া করেই কেটে যাবে দুজনের। পুজোটা বরাবর🏅 বড্ড স্পেশ্যাল দুজনের কাছেই। কারণ বছর কয়েক আগে ঐশ্বর্য কলকাতায় এসেছিলেন দুর্গাপুজো কাটাতে। সেখানেই প্রথম দেখা মৈনাকের সঙ্গে। এরপরই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। শাড়ি ভীষণ প্রিয় মৈনাক ঘরণীর, ঐশ্বর্যকে পুজোয় সেটাই উপহার দিয়েছেন নায়ক।
মৈনাকের স্ত্রী অভিনয় দুনিয়ার কেউ নন, ঐশ্বর্য পেশায় গাড়ির ডিজাইনার। চাকরিসূত্রে থাকꦡেন চেন্নাইতে। অন্যদিকে কলকাতায় নিজের অভিনয় কেরিয়ার সামলাতে ব্যস্ত মৈনাক। তাই বিয়ের পর থেকে সেভাবে একত্রবাস হয়নি। লং ডিসট্যান্স দাম্পত্য কেমন কাটছে? হাসিমুখে জবাব এল, ‘ভালোই চলছে। আমি যখন সময় পাই চলে যাই, ও যখন টাইম পায় এখানে চলে আসে। গত মাসেই আমি চেন্নাই গিয়েছিলাম। সেখান থে🐎কে ড্রাইভ করে পণ্ডিচেরী গিয়েছিলাম। ওখানে দু-দিন ছিলাম। সব মিলিয়ে দারুণ চলছে’।
দূরত্ব তাঁদের প্রেম আরও গাঢ় করেছে। পুজোর পর বউকে নিয়ে কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন মৈনাক? চটপট জবাব এল, ‘আমরা সিকিমে যাচ্ছি, একটু রিমোট গ্রাম। কিউসিং💎 বলে রা বাংলার আগে একটা গ্রাম রয়েছে, আর নাম্ফিং বলে আরেকটা গ্রাম রয়েছে সিকিমে, সেখানে দুটো হোম স্টে দেখেছি। কয়েকটা𓄧 দিন পাহাড়েই কাটাব’।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই স্লট বদল হয়েছে ‘ইচ্ছে পুতুল’-এর। রাত ৯.৩০টার বদল এখন সন্ধ্যে ৬.০ টার স্লটে সম্প্রচারিত হচ্ছে এই মেগা। এখন ‘তোমাদের রাণী’র🅷 প্রতিপক্ষ এই মেগা। সপ্তাহে ৭ দিনই এখন অনুরাগীরা দেখতে পাচ্ছে মেঘ-ময়ূরী-নীলকে।