চারিদিকে আলোর রোশনাই। বুধবার ‘চাঁদ রাত’। বৃহস্পতিবার খুশির ইদ। মাসভর রোজা রাখার পཧর এদিনটা কাছের মানুষদের সঙ্গেই কাটাতে চান সকলে। ইদ মানে উপহার দেওয়া-নেওয়া আর জমিয়ে ভুরিভোজ। এই বছর ইদটা ঢাকাতে নিজের পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছেন জয়া আহসান। ঢাকা থেকেই মুঠোফোনে নিজের ইদের পরিকল্পনা হিন্দুস্ত🌺ান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন জয়া।
একসঙ্গে ইদ আর পয়লা বৈশাখ- তাৎপর্যপূর্ণ ইদ জয়ার
আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইদ। আর পয়লা বৈশাখ হল বাঙালির সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব, আর এই বছর দু-টো একদম একসঙ্গে। মাঝে কয়েকটা বছর গোটা পৃথিবী জুড়ে করোনা থাবা বসেছিল,🔜 গত কয়েক বছরে স্বাভাবিকছন্দে ফিরেছ🤡ে পৃথিবী। আমার কাছে এইবার ইদটা আলাদারকম তাৎপর্যপূর্ণ কারণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান আর পয়লা বৈশাখ একইসময়ে উদযাপনের সুযোগ রয়েছে। ঢাকায় বিরাট বড় করে দুটোই উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের প্রাণস্পন্দন যদি কেউ অনুভব করতে চায় তাহলে বলব বাংলাদেশের পয়লা বৈশাখ এক্সপেরিয়েন্স করার মতো।
লন্ডন থেকে ইদ উপলক্ষ্য়ে এসেছে জয়ার ভাই
এবার ইদে একটা বাড়তি ভালোলাগা হচ্ছে আমার ভাই অনেকদিন পর 🐲লন্ডন থেকে এসেছে। ও এবারে এখানেই ইদ সেলিব্রেট করছে। আজ চꦺাঁদ রাত, সবাই মিলে মেহেন্দি পরব, জমিয়ে আড্ডা হবে। তারপর ইদের চাঁদ দেখা। বছরের এই সময়টা বাড়িতে সব মেহমানদের স্বাগত জানাতে আমরা তৈরি থাকি।
নো-ডায়েট, মায়ের হাতের রান্নায় জমজমাট ইদ
আম্মু তো গতকাল থেকেই রান্নাঘরে, নানান পদ রান্না করে চলেছে। মায়ের হাতের সাদা পোলাও-মাংস🌠 ইদের মেনুতে মাস্ট। সঙ্গে রেজালা, কোরমা, বিরিয়ানি,চাপ তো রয়েইছে। সঙ্গে নানারকমের সুস্বাদু মিষ্টি। আজ বাড়ি ফিরে দেখলাম মা নিজের হাতে রসগোল্লা বানিয়েছে। আমি টুপ করে মুখে পুরে নিলাম, অপেক্ষাই করতে পারিনি। আজ তো কেউ ডায়েটের কথা ভাবেই না!
ইদি দেওয়া-নেওয়া
ইদি তো দিতে হয়,এখন তো বড় হয়ে গেছি। তবে আমিও ইদি পাই সেটাও আনন্দের। এছাড়া আমাদের জাকাত দিতে হয়। মজার ব্যাপার হল, আমার মা ইদের আগে ব্যাঙ্কে গিয়ে নতুন নোট ভাঙিয়ে এনেছে সালামির জন্য। ইদে সালামিতে নতুন টাকা দেওয়া হয়। বোনকে আর মা'কে শাড়ি উপহার দিয়েছি। ভাইয়ের জন্য তো আজও একটা পাঞ্জাবি কিনে আনলাম। ইদে আসলে সবাইকে উ🐼পহার দেওয়া হয়। আমাদের বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড, তাঁদের পরিবার থেকে শুরু করে বাড়ির কাজে যারা সাহায্য করেন তাঁদের জন্য উপহার কেনাহয়, এগুলোই তে তো আসল আনন্দ।
ইদের সাজগোজ
আমার তো আজ থেকেই ইদের সাজ শুরু হয়ে গেছে (𒊎হাসি)। ইদে অরেঞ্জ আর কালো ঢাকাই জামদানি পরব, সঙ্গে একটা তাঁতের শাড়ি রয়েছে সেটাও হয়ত পরব। প্রচুর গরম, সেটা মাথায় রেখেই সাজব। আগামিকাল কমপক্ষে দুটো নতুন শাড়ি তো পরা হবেই। সারাদিন বা🐼ড়িতে মেহমানরা (অতিথি) আসবেন। রাতে নানুর বাড়ি দাওয়াত থাকে সেখানে হবে।
ইদ মোবারক
ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমার দুই বাংলার দর্শককে বলব সম্প্রীতি বজায় রেখে যেন উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেন সবাই। সবাইকে সা🌸থে নিয়ে আমারা চলি। সকলকে ইদ মুবারক, আর নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা।