শীতের শহরে ফের কাবুলিওয়ালা আসছে। সিনেমা হলে ছেয়ে যাবে কাবুলিওয়ালার দাপট। অর্থাৎ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় ছোট গল্প কাবুলিওয়ালার উপর ভ🐠িত্তি করে তৈরি হওয়া সুমন ঘোষের ছবি আসছে ২২ ডিসেম্বর। তার আগেই কাবুলিও🦂য়ালা থুড়ি রহমত মানে মিঠুন চক্রবর্তীর মুখোমুখি হয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেখানেই তিনি জানালেন এই ছবিতে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে রবি ঠাকুরের প্রাসঙ্গিকতা।
সবার আগে যদি এই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানান।
মিঠুন চক্রবর্তী: প্রথম ভয় লেগেছিল। তারপর রীতিমত অডিশন দিয়ে পাশ করে কাবুলিওয়ালার কাজ শুরু করি। এখন দেখি রিলিজ হওয়ার পর দর্শকরা♊ বিষয়টা কীভাবে নেন, ভুল করেছি না ঠিক করেছি সেটা তখন বুঝতে পারব।
প্রথমে রাজি হননি এই চরিত্রের জন্য বিশেষ কোনও কারণ?
মিঠুন চক্রবর্তী: আমার আগে যাঁরা দুজন এই চরিত্রে কাজ করেছেন তাঁরা দুজনই অমর শꦕিল্পী। মহান অভিনেতা তাঁরা। আমি করার পর উল্টোপাল্টা কিছু হলে সবাই ছিঁড়ে ফেলত। ভয় ছিল তাই। তাছাড়া...
বলুন।
মিঠুন চক্রবর্তী: 🌄কাবুলিওয়ালা তো আর যে কোনও সিনেমা না যে ভাবলাম আর করে ফেললাম। এটা একটা বাংলা ছবি হলেও মনে রাখতে হবে এখানে একজন আফগানি বাংলা শিখে কথা বলছে, একজন বাঙালি আফগানি ভাষা বলছেন না। আর আজকালকার দিনে সবাই সবটা খুব খুঁটিয়ে দেখে, তাই এই বিষয়টা একটা বড় ব্যাপার ছিল। ছবিতে একজন আফগানি বাংলা শিখে কতটা কীভাবে বলতে পারে হিন্দি বাংলা মিশিয়ে সেটা দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘একেন বাবু’ 𒈔করার আগে অনির্বাণ জানতেনই না এই চরিত্রর কথা! খোলামেলা আড্ไডায় আর কী বললেন?
আরও পড়ুন: ছোট পর্দায় ফিরে চমকিত সꦫাহেব, কোন প্রসঙ্গে বললেন, 'হেল অ্যান্ড হেভেন ফারাক'?
কীভাবে প্রস্তুত করলেন নিজেকে এই চরিত্রের জন্য?
মিঠুন চক্রবর্তী: আমার এক বন্ধু ছিল জামালউদ্দিন খান। ও একজন পাঠান, আফগান ছিল। পেশায় রাঁধ🧔ুনি ছিল। আমার জন্য নানা খাবার বানিয়ে আনত। ও যেভাবে হাঁপিয়ে কথা বলত, হাঁটত সেসব শরীরী ভাষা নকল করার চেষ্টা করেছি। ও কথা বলতে গিয়ে যেভাবে হাঁপিয়ে যেত, ধরা ধরা ভাবে কথা বলত সেটাকে অনুকরণ করেছি, এটা দেখে প্রযোজক, পরিচালক দারুণ খুশি হয়েছিল। সম্মতি জানিয়ে বলেছিল আমাদের কাবুলিওয়ালা এমনই হবে।
মিঠুন চক্রবর্তী মানেই ছোটদের সঙ্গে দারুণ বন্ডিং। অনুমেঘার সঙ্গে ভাব জমলো কীভাবে?
মিঠুন চক্রবর্তী: আমি ভীষণ বাচ্চা ভালোবাসি। ওদের সঙ্গে থাকলে খুব এনজয় করি, আমি নিজেও যেন বাচ্চা হয়ে যাই। অনুমেঘার সঙ্গে ✱প্রথম থেকেই দারুণ ভাবে মিশে গিয়েছিলাম। একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম আমরা। একসঙ্গেই থাকতাম। তারপর একটা সময় সুমনকে বলি আমরা প্রস্তুত শুটিংয়ের জন্য।
সুমনদার সঙ্গে এটা দ্বিতীয় কাজ। অভিজ্ঞতা কেমন?
মিঠুন চক্রবর্তী: ও আমায় এসে বলেছিল তুমি ছাড়া আমার কাবুলিওয়ালা হবে না। তখন আমি কিছুᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ শর্ত দিলাম, ও রাজি হল। তারপরই এই কাজ হয়। ভীষণ সহজ✨ ও, কোনও জটিলতা নেই। সহজভাবে গল্প বলে, বোঝায়।
কাবুলিওয়ালা ছবিটা মূলত ছোটদের কথা ভেবেই বানানো হয়েছে, কিন্তু আজকের দিনে রবি ঠাকুর কতটা প্রাসঙ্গিক ছোটদের কাছে?
মিঠুন চক্রবর্তী: ৩০-এর উপর যাঁরা তাঁরা উপভোগ করবেন। ২০ থেকে ৩০ যাঁদের বয়স তাঁদের কাছে কি এখন সময় আছে কবিগꦡুরুকে পড়ার, এটা একটা ভাবার বিষয়। ওঁরা ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজার আগে ফোন দেখে, রাতে বুকের উপর ফোন নিয়ে ঘুমাতে যায়। আমি সোশ্যাল মিডিয়া বিরোধী নই, এটা জ্ঞানের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু তারপর ১০০ কেন ২০০ শতাংশ ট্র্যাশ! ছবিটা কেন দেখা উচিত নয় জানি না, কিন্তু কেন দেখা উচিত জানি।
কেন?
মিঠুন চক্রবর্তী: সবাই এখন সমাজটা উঠে পড♛়ে ভাগ করত෴ে চাইছে। সবাই চাইছে। সেখানেই কাবুলিওয়ালা দারুণ একটা উদাহরণ। কারণ সবার উপর মানুষ ধর্ম, তার উপর কিছুই নেই। এটা একটা বড় শিক্ষা এই ছবির।
রবি ঠাকুর যখন কাবুলিওয়ালা লেখেন তখন তাঁদের যে সন্দেহের চোখে কিছু মানুষ দেখতেন, আজ কি সেটা কোথাও বদলেছে? নাকি একই আছে?
মিঠুন চক্রবর্তী: কাবুলিওয়ালা নয়, বলো হিন্দু মুসল𓆏িম। মুসলিমদের হিন্দুরা এড়িয়ে যায়, এবং উল্টোটা। ওই যে বললাম সবাই এখন সমাজকে ভাগ করতে চাইছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই ছবিটা একটা বড় মেসেজ। ওই যে মিনি বলে না, 'তোমার ঠাকুরের নাম আল্লা, আমার ঠাকুরের নাম ঠাকুর। তুমিও নমো করো, আমিও নমো করি' 🐷ওটাই আসল। ওটাই শেষ কথা। মানুষ ধর্মকে জন্ম দিয়েছে, আল্লা আর ঠাকুর কিন্তু মানুষকে জন্ম দিয়েছে। তাই তুমি অন্য কিছু ভেবে থাকলে সেটা তোমার ভাবনা।