বৃহস্পতিবার খুশির ইদ (Eid) দেশজুড়ে, প্রস্তুতিতে আনন্দে মেতে উঠেছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষরা। আমজনতা থেকে সেলেব্রিটি বাদ নেই কেউই। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। দুর্গা পুজোর অঞ্জলি হোক বা রথের রশি টানা কিংবা ক্রিসমাসে কেকমুখ কিছুই বাদ দেন না নুসরত জাহান। তবে পার্ক সার্কাসে বেড়ে ওঠা নুসরতের জীবনে ইদ মানেই বাড়তি আনন্দ। আরও পড়ুন-ইদের পরপরই পয়লা বৈশাখ, ঢাকাই জামদা🎃নি আর মায়ের হাতের পোলাও-মাংসে জমে যাবে জয়ার ইদ!
এখন ছেলে ইশানের বয়স প্রায় তিন ছুঁইছুঁই। এখন একটু বুঝদার সে। যশ আর ইশানকে নিয়ে বালিগঞ্জ পার্কের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই কাটবে ইদ। এই বিশেষ দিনে কী পরিকল্পনা অভিনেত্রীর? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বসির🔴হাটের বিদায়ী সাংসদ।
চাঁদ রাতের ব্যস্ততা। তার ফাঁকেই নুসতর জানান, ‘এই বছরটা বাড়িতেই কাটবে আমার ইদ। সকালে নামাজ পড়ে ভালোমন্দ খাওয়া। ঘরোয়া আয়োজনেই দিনটা কাটাব যশ আর ইশানের সঙ্গে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় আর এক্সটেন্ডেড ফ্যামিলিরা সবাই আসবে। এই বছর বাবা-মা মক্ক🦋া গিয়েছেন তাই তাঁরা আমাদের সঙ্গে ইদটা সেলিব্রেট করতে পারবেন না। বোন তো চাকরিসূত্রে বিদেশে থাকে’।
ইদ মানেই এলাহি ভুরিভোজ আর ডায়েট ভুলে পছন্দের আওয়াধি বা মোগলাই খাবার চেটেপুটে খাওয়ার দিন। অভিনয়ের পাশাপাশি রন্ধনশিল্পেও পটু নুসরত একথা অনেকেরই জানা। ইদের দিন নিজের হাতে বিরিয়ানি রাঁধবেন যশ ঘরণী। নুসরত বললেন,'ইদের মেনুতে অবশ্যই বিরিয়ানি থাকছে, যেটা আমি নিজের হাতে বানাব। সঙ্গে মাটন আর চিকেন কাবাব থাকছে। আর ইদের মেনুতে মিষ্টি থাকবে না সেটা তো অসম্ভব। প্রচুর মিষ্টি থাকছে। ইদ মানেই নো-ডায়েট। নো-এক্সারসাইজ'। খানিক থেমে নায়িকার সংযোজন, ‘আমি কলকাতার পার্ক সার্কাস অঞ্চলের মেয়ে, এখানেই বেড়ে ওঠা। তাই সকাল সকꩵাল ব্রেকফাস্টে ডালপুরি বা🎃 হালুয়া পুরি বা নিহারি পুরি খাই। ইদে তো এগুলো না হলে চলবেই না।’
ইদ মানেই প্রচুর কেনাকাটা আর ইদি দেওয়া-নেওয়ার পালা। নায়িকা জানালেন, শপিং সারা হয়ে গিয়েছে। সাবেকি পোশাকেই সাজবেন তিনি। যশ,ইশান থেকে বাড়ির সব কর্মচারীর জন্য নতুন জামা কিনেছেন নুসরত। রাজনীতির তাপ-উত্তাপ থেকে 🌃এখন অনেক দূরে তিনি। পরিবারের সঙ্গে হই-হুল্লোড় করে কাটাবেন দিনটা।