মিমির হাত ধরে গ্যাংস্টার হিসাবে রূপোলি সফর শুরু হয়েছিল ছোটপর্দার অরন্যর, মানে যশ দাশগুপ্তর। ২০১৬-র দুর্গাপুজোয় মুক্তি পায় এই ছবি। দেখতে দেখতে চার বছর অতিক্রান্ত। এই পুজোয় অনুরাগীদের জন্য SOS কলকাতা নিয়ে হাজির যশ।সঙ্গী মিমি চক্রবর্তী, জোড়িদার নুসরত জাহান। HT Bangla'র সঙ্গ🎀ে নস্ট্যালজিক আড্ডায় অভিনেতা।
কখনও গ্যাংস্টার আবার কখনও পুলিশের চরিত্রেও- এই ছবিতে তো অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের অফিসার। অ্যাকশন জঁর কি আপনার বিশেষ পছন্দের?
– দেখুন এই ছবিতে অত্যন্ত পরিমিত ভাবে প্রয়োজন বুঝেই ব্যবহার করা হয়েছে। ত🅰াছাড়া এখানে আমি প্রথমবার একজন মেয়ের বাবার চরিত্রে অভিনয় করছি। কাজেই নিজের বয়সকেও সেইভাবেই ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে অভিনয় দিয়ে এবং মেক আপেও। আসলে এখানে একটা ক্যারেক্টার লিপ দেখানো হয়েছে- দশ বছর আগে আর পরে। সেটাও মাথায় রাখতে হয়েছে। তব꧂ে অস্বীকার করার জায়গা নেই অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে আমার খুব ভালোই লাগে। তবে এখানে চেষ্টা করেছি অন্যরকম কিছু করার।
গোটা দেশে লকডাউনের পরে শুট শুরু করে থিয়েটারে রিলিজ হওয়া প্রথম ছবি SOS কলকাতা। কীভাবে দেখছেন বিষয়টা ?
দেখুন এটা তো পরিষ্কার করোনা এখন যাবে না-আমাদের এইভাবেই চলতে হবে। সকলেই এটা বুঝে গেছেন এবং কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তাছাড়া বাড়িতে বসে থাকলে তো এইভাবে চলবে না। সবাইকেই সারভাইভ করতে হবে, তাই বাইরে বেরোতেও হবে সুরক্ষাবিধি মাথায় রাখতে হবে। মিথ্যে বলার জায়গা নেই আমিও প্রথমে খুব ভয় পাচ্ছিলাম বেরোতে। তবে আস্তে আস্তে ভয় কেটেছে। ভগবানের অশেষ কৃপা আমার কোনও সমস্যা এখনও হয়নি। আমাদের গোটা শ্যুটিং ইউনি♚টের কেউ কোনওভাবে অসুস্থ হয়নি।
আপনি এর আগে মিমি নুসরত দুজনের সাথেই কাজ করেছেন। আমরা সকলেই জানি অফ ক্যামেরা ওদের বন্ডিং কতটা স্ট্রং। এবার আপনাদের তিনজনের একসাথে কেমিস্ট্রিটা কেমন ছিল ?
দেখুন যদি কো-আর্টিস্টের সাথে আপনার অফ স্ক্রি🗹ন সম্পর্ক ভালো হয় তাহলে অনস্ক্রিন তার একটা ইমপ্যাক্ট পড়তে বাধ্য। তাছাড়া শুটিংয়ের ফাঁকে আমরা একসাথে খেলেছি, খুব হই-হুল্লোড় মজা করেছি। একদমই বোর লাগেনি। একসাথে লাঞ্চ করতাম কখনও।আড্ডা মেরে সময় কাটিয়ে দিয়েছি কাজ না থাকলে। এনজয় করেছি এক কথায়।
পুজোতে কী প্ল্যান ? শোনা যাচ্ছে পুজোর মাঝেই নাকি গোয়া যাচ্ছেন বেড়াতে, নতুন গাড়িও কিনেছেন ...
হ্যাঁ, প্ল্যান আছে তবে কোথায় যাবো ꦿএখনও সেই অর্থে ঠিক করিনি। আসলে প্যানডেমিকের কারণে বহিরাগতদের জন্য একেকটা রাজ্যের নিয়ম একেকরকম। কোথায় নিয়ম একটু শিথিল সেই ব্যাপারগুলো একটু দেখে নিচ্ছি। আর আমি ফ্লাইটে যেতে চাইনা কারণ এখন ফ্লাইটে উঠতে গেলে হেলমেটের মতো ফেস শিল্ড,মাস্ক পরে যেতে হয়। আর আমার এতে খুব কষ্ট হয়- দমবন্ধ হয়ে আসে। আমি আসলে ক্লস্টোফোবিক- তাই ঠিক করেছি গাড়ি নিয়েই কোথাও ঘুরে আসবো।
পুজোর কোনও বিশেষ স্মৃতি, যা মনের খুব কাছের?
দেখুন পুজোর স্মৃতিতো সবসময়ই স্পেশ্যাল। বড় হওয়ার 𝔍পরে ২০১৬ সালের পুজোয় আমার প্রথম ছবি গ্যাংস্টার রিলিজ হয়েছিল। তো সেটাই আমার কাছে খুব হ্যাপি একটা মেমোরি বলা যেতে 💦পারে। আমার জীবনটা পালটে দেয় এই ছবি।
বড়োপর্দার নায়ক হওয়ার আগে আপনি দীর্ঘ সময় টেলিভিশনের হার্টথ্রব ছিলেন। ছোটপর্দা থেকে সিলভার স্ক্রিন- এই জার্নিটাকে কিভাবে দেখেন আপনি ?
দেখুন এসভিএফকে ধন𝄹্যবাদ জানাবো আমায় সুযোগটা দেওয়ার জন্য। তবে বাকি সবটাই দর্শকদের ভালোবাসা। কারণ তাঁরা আমায় টিভিতেই দেখতেন , আমার কাজ তাঁদের ভালো লেগেছে সেই জন্যই আজ আমি এখানে পৌঁছতে পেরেছি। না হলে এটা সম্ভব হতো না।
SOS কলকাতা সম্পর্কে ফ্যানেদের কী মেসেজ দিতে চাও ? কোভিড আবহেও তাঁরা ছবিটা দেখতে কেন হলে যাবেন ?
দেখুন যদিও প্যানডেমিকের সাথে♔ এই ছবির কোনও রিলেশন নেই তবুও বলবো এই ছবিতে বর্তমান পরিস্থিতির সাথে একটা হালকা সাদৃশ্য রয়েছে। এখন আমরা সবাই সরকারের গাইডলাইন মেনে চলছি। এখানেও দেখানো হয়েছে কীভাবে প্রশাসনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আম জনতা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়ছে।এটা একটা নিঃসন্দেহে একটা বড় দিক।
আমি ব্যক্তিগতভাবে অ্যাকশন খুব ভালোবাসি। আর ছবিটা অনেকটাই আলাদা কারণ অহেতুক গানের ব্যবহার নেই। আমার আর মিমির একটা ছোট্ট গান আছে আর একটা বাচ্ছাদের একটা☂ গান 𝔍আছে ছবিতে। নুসরত আর আমার উপর দৃশ্যায়িত ‘হার মানবো না’ প্রমোশ্যানাল সং, ওটা ছবিতে নেই।
আর সত্যি বলতে গেলে যদি আমায় ব্যক্তিগত ভাবে 🦹জিজ্ঞেস করেন আমি এবার সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখতে চ෴াই। এই কমাসে ওটিটি কন্টেন্ট অজস্র দেখেছেন দর্শক,হয়তো হাঁপিয়ে উঠেছেন।
লকডাউনে কোন ওটিটি কন্টেন্ট আপনার সবথেকে ভালো লেগেছে ?
দেখুন আমার মানি হেইস্ট খুব পছন্দ হয়েছে। এছাড়াꦇ ডার্ক,স্পেশাল অপস,লুসিফার এগুলোও বেশ ভালো লেগেছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন বাড়িতে বসে ফোন বা স্ক্রিনে এত দেখে ফেলেছি আর কিছুই ভালো লাগছে না, এবার ♔বড়ো পর্দাতে ছবি দেখতে চাই।
হাসতে হাসতে অকপট স্বীকারোক্তি অভিনেতার।