লকডাউনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার মান্যতা রেখে ও কলাকুশলীদের শারীরিক সুস্থতার জন্য বাংলা ধারাবাহিকের শ্যুটিং বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিল আর্টিস্ট ফোরাম। কিন্তু তারপরেও বেশ কিছু ধারাবাহিকের কাজ হয়েছে। বাড়ি থেকে শ্যুট হচ্ছে দাবি করা হলেও জানা গিয়েছে হোটেল, গুদাম ঘর, ভাড়া বাড়িতে, নদীর ঘাটে সামাজিক দৃরত্ব বজায় না রেখেই কাজ করেছেন একগুচ্ছ ধারাবাহিকের কলা-কুশলীরা। এবার সেই ধারাবাহিকের প্রযোজকদের কাছে জবাব চাইল ফেডারেশন। সোমবার ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ ‘কৃষ্ণকলি’, ‘তিতলি’, ‘গ্রামের রানি বীণাপাণি’, ‘বরণ’, ‘খেলঘর’, ‘খড়কুটো’, ‘শ্রীময়ী’, ‘ফেলনা’-সহ ২০টি ধারাবাহিক ফোরামের নির্দেশ আমান্য করে বাড়ি থেকে কাজ করেছে। আর এই শ্যুট করার জন্য তাঁরা প্রযোজকদের থেকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য নিয়েছেন। ক্যমেরা কে করেছে, আলো কোথা থেকে পাওয়া গেল, মেকআপ কীভাবে হল, কস্টিউমই বা শিল্পীরা কোথা থেকে পেলেন সে প্রশ্নের জবাব আর্টিস্ট ফোরামের কাছে জানতে চেয়েছে ফেডারেশন। বাড়ি থেকে শ্যুট করায় কাজের গুণগত মানও নষ্ট হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন। ক্যামেরা বা এডিটিংয়ে যাঁদের নাম যাচ্ছে, তাঁরা কাজ তো করছেনই না। উলটে খারাপ কাজে তাঁদের নাম খারাপ হচ্ছে। সঙ্গে প্রযোজকদের কাছে ফেডারেশনের তরফে প্রশ্ন রাখা হয়েছে যারা দৈনিক চুক্তিতে শ্যুট করেন, তাঁরা এই লকডাউনে কাজহীন। তাঁদের কী হবে? কেন প্রযোজকরা কেবল মাসিক চুক্তিতে কাজ করা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথা ভাবছেন। ফেডারেশনের তরফে তাই আর্টিস্ট ফোরামের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে এই সব শিল্পীদের ও কলাকুশলীদের ব্যাপারে তাঁরা কী ভাবছেন। প্রসঙ্গত, আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত শ্যুটিং বন্ধ রাখার কথাই জানানো হয়েছে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। সঙ্গে, বিধিনিষেধ উঠে গেলে কাজ শুরু হলে ফেডারেশন অভিযুক্ত ২০টি ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।