সারাদিন মদের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন। অ্যালকোহলের নেশায় ডুবে থাকতে থাকতে নিজেকে প্রায় শেষ করতে বসেছিলেন হৃতিক রোশনের দিদি সুনয়না। শেষ পর্যন্ত নিজেকে কীভাবে সুস্থ করেন তিনি? কী জানালেন?
আরও পড়ুন: প্রথম স্থান ফের হাতছাড়া পরিণীতার! ফুলকি না জগদ্ধাত্রী- কে এবারের বেঙ্গল টপার? কারা আছে সেরা ৫-এ?
কী ঘটেছে?
সুনয়না রোশন আগেও একাধিক বার নিজের মদের নেশার বিষয়ে কথা বলেছেন। সম্প্রতি তিনি জানালেন সেই নেশার সঙ্গে তিনি কীভাবে লড়াই করে সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছিলেন, কীসের কীসের সম্মুখীন হন। সুনয়না জানান তিনি ২৮ দিন রিহ্যাবে ছিলেন নিজেকে সুস্থ করার জন্য। আর সেখানেই তাঁর সেই ভয়াবহ দিনগুলো কেটেছিল।
এদিন নিউজ ১৮ শোশাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের এই অভিজ্ঞতাকে দুঃস্বপ্নের আখ্যা দেন। বলেন, 'আমি জানি না নরমাল রিহ্যাব কেমন হয়, কিন্তু সেটা একটা ২৮ দিনের কোর্স ছিল যেখানে ওরা আপনাকে গ্রিল করবে খালি। আমাদের আর কোনও উপায় থাকত না বসে থাকা ছাড়া। আমার জীবনে অন্যতম কঠিন জিনিস ছিল এই রিহ্যাবে যাওয়াটা।' রাকেশ কন্যা আরও জানান সেই রিহ্যাবে তাঁদের রোজ সকাল সাড়ে ৫ টা নাগাদ উঠে পড়তে হতো, ৬ টা নাগাদ জলখাবার দেওয়া হতো। এরপর মেডিটেশন, কাউন্সেলিং চলত সারাদিন ধরে। তাঁকে সেই সময় ফোন ধরতে দেওয়া হতো না। কোনও রকম চিনি বা চকলেট ক্যাফেন জাতীয় খাবার খেতে দেওয়া হতো না।
সুনয়না জানান তাঁর এই কঠিন সময় তাঁর বাবা মা তাঁদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন তাঁকে সাহায্য করার। কিন্তু তিনি বুঝেছিলেন কিছুই কাজ করবে না যতক্ষণ না তিনি নিজে রিহ্যাবে যাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে হৃতিকের দিদি বলেন, 'আমার ভিতর একটা রাগ ছিল যে আমায় এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। ওরা আমার জন্য বডিগার্ড রেখেছিল। আমার সমস্ত টাকা নিয়ে নিত। কোনও ক্যাশ রাখতে দিত না। তারপর একদিন বাবা মাকে বললাম আমি আর এটা নিতে করছি না। আমার জন্য যেন তাঁরা একটা ভালো রিহ্যাবের ব্যবস্থা করেন। তিনি সেখানে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চান।'
আরও পড়ুন: টিমটিম করছে 'জাট'-র ব্যবসা, এদিকে ৪৫ কোটির দোরগোড়ায় ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’! বুধবার কত আয় করল?
সুনয়না এদিন কথা প্রসঙ্গে আরও জানান এমন একাধিক দিন গেছে যখন তিনি পরদিন ঘুম থেকে উঠে ভুলে যেতেন যে আগের রাতে কী করেছেন না করেছেন। এরপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে অনেক হয়েছে, এমন ভয়াবহ অবস্থায় থাকার থেকে তিনি চিকিৎসা করাবেন।