জনসমক্ষে সাবার হাত শক্ত করে ধরে হৃতিক ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’। সুজানের সঙ্গে ডিভোর্সের পর থেকে হৃতিকের জীবনে কোনও নারীর উপস্থিতি এভাবে চোখে পড়েনি। তবে🐓 গত কয়েকমাসে 🔯পালটে গিয়েছে সব হিসাব। আজকাল হামেশাই সাবার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন হৃতিক। অভিনেতার পরিবারের সঙ্গেও সাবার ঘনিষ্ঠতা কারুর নজর এড়াচ্ছে না। চলতি বছরের শুরুতে মুম্বইয়ের এক রেস্তোঁরায় সাবার সঙ্গে নৈশভোজে লেন্সবন্দি হয়েছিলেন ‘কৃশ’ তারকা। তারপর থেকেই এই জুটির প্রেম নিয়ে চর্চা অগুণতি।
মঙ্গলবার ফের একবার মুম্বই এয়ারপোর্টে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় লেন্সবন্দি হলেন দুজনে। হাতে হাত ধরে এয়াকপোর্টে হাঁটলেন তাঁরা, তোয়াক্কা করলেন স♐ংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার। যেন চোখের ইশারায় বলছেন, ‘প্রেমে পড়া বারণ নয়’। সোশ্যাল মিডিয়াতে আজকাল হামেশাই পরস্পরের 'তারিফ' করছেন সাবা ও হৃতিক, তাঁদের প্রেম জমে যে ক্ষীর তা বেশ বোঝাই যাচ্ছে।
এয়ারপোর্টে ব্লু ডেনিম আর সাদা টি-শার্টে লেন্সবন্দি হলেন হৃতিক। মাথায় টুপি, চোখে রোদচশমা। তার ভিতর দিয়েও স্পষ্ট সাবার উপর থেকে চোখ সরছে না অভিনেতার। অন্যদিকে সাবার দেখা মিলল, ধূসর রঙা ঢিলেঢালা প্যান্ট ও বিক🗹িনি টপে। এই ভিডিয়োয় নেটিজেনদের নানারকমের মন্তব্য চোখে পড়ছে। একজন লেখেন, ‘চর্চার আর কী আছে, বোঝাই যাচ্ছে ওরা প্রেম করছে’। আবার কেউ কেউ দুজনের বয়সের ফারাক নিয়ে কটাক্ষ করেন। একজন লেখেন, ‘ছোট বাচ্চার সঙ্গে ‘অ্যাঙ্কেল’ হৃতিক প্রেম করছে। চিন্তা করো না, এও খুব দ্রুত তোমাকে ছেড়ে পালাবে'। প্রসঙ্গত, হৃতিক-সাবার বয়সের ফারাক ১৭ বছর।
উল্লেখ্য, এর আগে সুজান খানের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল হৃতিকের। ২০১৪ সালে দীর্ঘ ১৪ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টানেন দুজনে। হৃতিক-সুজানের দুই পুত্র রেহান ও রিদান। অন্যদিকে, নাসিরুদ্দিন শাহর পুত্রের সঙ্গে দীর্💧ঘ সময় লিভ ইন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে তাঁরা লিভ-ইনের সম্পর্কে ছিলেন সাবা ও নাসির পুত্র ইমাদ। ২০২০ সালে সেই সম্✤পর্কে ইতি টানেন তাঁরা। সম্পর্ক ভাঙলেও বন্ধুত্ব টিকে আছে দুজনের। সাবা আজাদের আসল নাম সাবা সিং গ্রেওয়াল। সাবা একজন মডেল, গায়িকা ও অভিনেত্রী। ২০০৮ সালে বলিউডের সিনেমা ‘দিল কবাডি’ দিয়ে ডেবিউ। অভিনয় করেছেন ‘মুঝসে ফ্রেন্ডশিপ করোগে’,‘ফিলস লাইক ইশক’-এর মতো ছবিতে।