'জানে তু ইয়া জানে না'-এর জয় সিং রাঠোরকে মনে পড়ে? তাঁর মিষ্টি হাসিতেই মন গলেছিল সকলের। কথা হচ্ছে ইমরান খান। আমির খানের বোনপো হিসাবেই বলিউড চিনছিল তাঁকে। অকাল অবসর নিয়ে বলিউডকে বিদায় জানান ফ্লপে জর্জরিত নায়ক। মা🌟ঝে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন ইমরান। তবে এখন মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া🐓য় বোমা ফাটান তারকা। নিজের সাম্প্রতিক ইনস্টা পোস্ট ফের অতীত জীবন নিয়ে বিস্ফোরক অভিনেতা।
বলিউডের হিরোসুলভ চেহারা কোনওদিনই তাঁর ছিল না, আক্ষেপের সুরে জানান ইমরান। তাঁর শরীরের গড়ন রোগা। এরজন্য কম কটাক্ষের মুখে পড়েননি তিনি। ইমরান লেখেন, ‘আমি হাইপার-মেটাব🍎লিক। অর্থাৎ যা খাই সেই ক্যালোরি শরীরে বার্ন হয়ে যায়। যখন আমি যৌবনের দিকে পা রাখতে থাকলাম, আশেপাশের ছেলেরা সবাই জিম জয়েন করল, ওয়ার্ক আউট শুরু করল। তাঁদের শরীরের আকার বাড়তে থাকল, বাইসেপস ফুলতে শুরু করল। আর আমি স্মল সাইজের টি-শার্ট পরতাম, তাতেও হাতা গুলো লুজ হত।’ 𒁃;
ইমরান মনে করান, জানে তু ইয়া জানে না-র জয় সিং রাঠোরের চরিত্রে অভিনয় করতে সুঠাম দেহের দরকার ছিল না। তবুও সকলে তাঁকে চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল তিনি কতটা রোগা, সেই কারণে গোটা ছবিতে সবসময় দু-টো লেয়ারের পোশাক পরে দেখা গিয়েছে ইমরানকে। বেশিরভাগ সময়ই টি-শার্টের উপর বুকচেরা শার্ট। পরের ছবি কিডন্যাপের জন্য জিম গিয়ে কসরত শ🦩ুꦕরু করেন ইমরান।
আমিরের বোনপো বলে রেয়াত করেনি বলিউড! পরিচালকদের থেকে লাগাতার কটূক্তি শুনতে হয়েছে তাঁকে। বারবার বডি শেমিং-এর শিকার হয়েছেন ইমরান। অভিনেতা জানান, আগামী কয়েক বছর নিজের শরীর গড়ে তোলার জন্যই সবচেয়ে বেশি মন দিয়েছিলেন তিনি। তবুও পরিচালকদের থেকে শুনতে হত, ‘শ্যুটিং শুরুর আগে তুমি চেহারাটা একটু বাড়িয়ে নেবে তো? বড্ড দুর্বল দেখাচ্ছে’। কেউ লিখলেন, ‘তꦓোমাকে তো বাচ্চা ছেলে লাগে, পুরুষ মনে হয় না’। কেউ বললেন, ‘হিরোইনদেরও তো তোমার চেয়ে বড় (আকারে) লাগে’।
এর জেরেই ভুল পথে হেঁটে নিজের শরীরে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন ইমরান। স্টেরয়েড নিয়ে শরীর বাড়ানোর কথা মেনে নেন তিনি। ইমরান লেখেন♉, ‘ভিতর থেকে মনে হত আমাকে একদম পারফেক্ট দেখাচ্ছে। কিন্তু আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আমি শক্তিশালী হতে চেয়েছিলাম, হিরোসুলভ চেহারা চেয়েছিলাম। চাই আরও বেশি করে চেষ্টা করলাম। দিনে ৬ বার খাওয়া-দাওয়া শুরু করলাম- ৪০০০ ক্যালোরি গোটা দিনে। চিকেন ব্রেস্ট, ডিমের সাদা অংশ, রাঙালু, ওটস🐼, ফ্লেক্স সিডস… সব প্রোটিনযুক্ত খাবার কিন্তু তাও আমার বাইসেপ বাড়ছিল না।’ এরপর নানা ধরনের সাপ্লিমেন্ট ফুড খাওয়া শুরু করেন ইরমান, তাতেও কাজ না হলে ‘অ্যানাবলিক স্টেরয়েড’ নেন।
ইমরান যোগ করেন, ‘যদিও আমাদের জগতে ভুলেও একথা প্রকাশ্যে আনতে নেই। যে ইলিউশন রয়েছে (গ্ল্যামার জগতে ঘিরে) তা মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে যেতে পার🌠ে’।
কিন্তু গত🥀 কয়েক বছরে স্টেরয়েড থেকে অনেক দূরে ইমরান। মানসিক অবসাদ কাটিয়ে নিজের মতো করে জীবন কাটাচ্ছেন। রোগা-পাতলা ইমরানকে দেখে অনেকেই ভেবে বসেছিলেন অবসাদগ্রস্ত হয়ে হয়ত ড্রাগের নেশায় ডুব দিয়েছেন তিনি, সেসব কটূক্তির জেরে একটা সময় ‘লজ্জিতবোধ’ করেছেন ইমরান। এখন ℱনিজের শর্তে জিমে যান, সাপ্লিমেন্ট হিসাবে কাঠবাদাম আর কাঁচা হলুদ খান। সুপারহিরোদের মতো চেহারা দেখলে আজও অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন, তবে নিজের শরীর নিয়ে এখন খুশি তিনি।