পরিচালক পাল নলিনের ও‘ছেল্লো শো’ ২০২৩ সালের অস্কার পুরস্কারের আন্তর্জাতিক ফিচার ছবি বিভাগের জন্য ভারত থেকে মনোনীত হয়েছে। Film Federation of India (FFI)-এর সভাপতি জানিয়েছেন সর্বসম্মতভাবে এই ছবিকে বেছে নেওয়া হয়েছে এসএস রাজামৌলির আরআরআর, রণবীর-আলিয়ার ব্রহ্মাস্ত্র, রাজকুমার-ভূমির বাধাই দো ও আর মাধবনের রকেট্রির মধ্যে থেকে। আর এর পিছনে আছে ‘ছেল্লো শো’-র গল্প বলার অভিনবত্ত্ব ও সার্বজনীন আবেদন। এই বছর ১৩টি ছবিকে বাছাই করা হয়েছিল প্রাথমিক পর্বে।
ভারতীয় সিনেমার সেলুলয়েড থেকে ডিজিটালে আসার পথই এই ছবির বিষয়বস্তু। ছবির মুখ্য চরিত্র ৯ বছরের এক বালক,🐠 যার জীবন পুরোপুরি বদলে যায় প্রথমবার সিনেমা দেখার পর। জুরির সদস্য TS Nagabharana জানিয়েছেন, ‘ছেল্লো শো-র ভারতীয়ত্বই আমাদের সবার মন কেড়ে নিয়েছে। সবাই মিলে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। একটা বাচ্চার সরলতা আর স্বপ্নকে ঘিরে এই ছবি। যা আমাদের শেখায় তুমি কোনও স্বপ্নের পিছনে একাগ্রে ধাওয়া করলে তা পূরণ হবেই। আমাদের ভালো লেগেছে কীভাবে এই ছবি উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে শুরু হয়েছে এবং একগুচ্ছ আশা নিয়ে শেষ হয়েছে। যে ১৩টা ছবি বাছা হয়েছিল, যার মধ্যে ৬টি হিন্দি ছিল সবকটাই অসাধারণ।’
প্রশ্ন উঠছে গত বছরও ১৩টি ছবির প্রাথমিক তালিকায় নাম ছিল ‘ছেল্লো শো’-র। তখন কেন এটাকে বাছা হয়নি? টিএস নাগভর্ণা এই প্রসঙ্গে জানান, ‘ꦜতখনও এই সিনেমাটি জনগনকে দেখানো হয়নি। তাই তালিকায় থাকলেও বাছাই করা যায়নি। কারণ এটা ছবি বাছাইয়ের অন্যতম একটা নির্ণায়ক। চলতি বছরের আগে এটার স্ক্রিনিং হয়ে গিয়েছে আর সিনেমাটা খুব জলদি মুক্তিও পাবে।’ সঙ্গে হাসতে হಌাসতে জানান, ‘ছবি বাছাইয়ের আসল প্যারামিটার হল তা আমাদের হৃদয়কে ছুঁতে হবে।’
ছবির পরিচালক পাল নলিনও খুব খুশি এই সাফল্যে। জানান, ‘ছেল্লো শো যেভাবে গোটা বিশꦇ্বের মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়েছে, তা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও আমার মনে একটা ব্যথা আছে, কীভাবে এই ছবি আমি গোটা ভারতের মানুষকে দেখাব? তবে এখন আমি স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারি আর এটা বিশ্বাস করতে পারি সেইসমব সিনেমায় যা বিনোদন দেয়, মানুষকে শেখায় এবং অনুপ্রেরণাও দেয়।’