৭ সেপ্টেম্বর বক্স অফিসে যাকে বলে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। এর আগেও সলমন-শাহরুখদের সিনেমা নিয়ে মাতামাতি দেখেছে দেশ। তবে সারা রাত জেগে, ভোর রাতেও যে অকাতরে মানুষ সিনেমা হলে ভিড় জমাবেন তা মনে হয় কল্পনারও অতীত ছিল। ৭৫ কোটি দিয়ে খাতা খোলে জওয়ান। যা বলিউডেরꦡ সর্বোচ্চ ওপেনিং। এতদিন এই তকমাটা ধরে রেখেছিল শাহরুখের সিনেমা পাঠান। তবে পাঠানের প্রথম দিনের আয় ছিল জওয়ানের তুলনায় অনেকটাই কম, ৫২ কোটি।
রবিবারে জওয়ানের খাতায় বেশ ভালো অঙ্কের টাকাই যোগ হয়েছে। sacnilk.com-এর রিপোর্ট বলছে, ৩৬.৫০ কোটি আয় করেছে। এর মধ্🐷যে ৩৪.৫০ কোটি এসেছে হিন্দি থেকে।
জওয়ানের বক্স অফিস রিপোর্ট:
অ্যাটলি কুমার পরিচালিত জওয়ান ৭ সেপ্টেম্বর হিন্দি, তামিল, তেলুগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল। প্রথম সপ্তাহান্তে জওয়ান-এর আয় ছিল ৩৮৯.৮৮ কোটি। এর মধ্যে হিন্দি থেকে এসেছে ৩৪৭.৯৮ কোটি। তামিলে ২৩.৮৬ কোটি আর তেলুগু-তে ১৮.০৪ কোটি। দ্বিতীয় সপ্তাহে শুক্রবারে ১৯.১ কোটি (হিন্দি ১৮.১ কোটি, তামিল ৪১ লাখ, তেলুগু ৫꧟৯ লাখ), শনিবার ৩১.৮ কোটি (হিন্দি ৩০.১ কোটি, তামিল ৮০ লাখ, তেলুগু ৯০ লাখ), রবিবার ৩৬.৫০ কোটি (প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে হিন্দিতে ৩৪.৫০ কোটি)
আর সেই হিসেবে জওয়ান-এর হিন্দি ভার্সন ১১ দিনে আয় করল ৪৩০ কোটির কাছাকাছি। আর তিন ভাষায় ম♕োꩵট আয় ৪৭৭.২৮ কোটি।
এদিকে, সবচেয়ে জলদি ৫০০ কোটির ঘরে প্রবেশের রেকর্ড আছে এই মুহূর্✨তে গদর ২-এর কাছেꦇ। সানি-আমিশার ছবি ২৪ দিনে এন্ট্রি নেয় ৫০০ কোটিতে। পাঠানের এই কাজ করতে সময় লেগেছিল ২৮ দিন। আর বাহুবলী ২-এর হিন্দিভার্সানের ৩০ দিনেরও বেশি। তবে জওয়ান হয়তো ১২ কিংবা ১৩ নম্বর দিনেই ছুঁয়ে ফেলবে ৫০০ কোটির ঘর। মানে বলিউডের সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দেবে এই ছবিই।
এদিকে আবার ‘জওয়ান ২’-এর পরিকল্পনা ফাঁস করেছেন পরিচালক অ্যাটলি। অনেকেই জওয়ান-এর শেষ দৃশ্যে দ🦂েখে আশায় বুক বেঁধেছেন। যেখানে দেখানো হয়েছে সঞ্জয় দত্ত হাজির আজাদের কাছে নতুন মিশনের প্রস্তাব নিয়ে, ‘এবার সবার সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বার করব’, এমন সংলাপও শোনা গিয়েছে বাদশার মুখে। তবে অ্যাটলিকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, ‘আমার প্রত্যেক ছবিতেই ওপেন এন্ডিং থাকে। তবে আজ পর্যন্ত কোনও ছবির সিকুয়েল বানাইনি। কিন্তু যদি কোনও শক্তিশালী ভাবনা আমার মাথায় আসে, তাহলে নিশ্চিতভাবে সিকুয়েল তৈরি করব। দেখা যাক’।