বয়স প্রায় ৪০ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু গ্ল্যামার বা ফিটনেস দেখে বোঝে কার সাধ্য! পাঁচ বছর আগে যেমন সুন্দরী ছিলেন, আজও সেই একই রকম আকর্ষণীয় চেহারা ধরে রেখেছেন তিনি। কার কথা বলছি? দুই বাংলার জনপ্রিয় ন☂ায়িকা জয়া আহসান। কীভাবে নিজের যত্ন নেন জয়া? কোꦫন মন্ত্রেই বা ফিট রাখেন নিজেকে? জানালেন নিজেই।
আগামী শুক্রবার, ২ জুন মুক্তি পাবে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত নতুন ছবি অর্ধাঙ্গিনী। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে জয়াকে। তাঁর সঙ্গে থাক♑বেন কৌশিক সেন, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। এই গল্পে কৌশিক সেন এবং তাঁর দুই স্ত🐈্রীর কাহিনি উঠে আসবে। জয়াকে তাঁর দ্বিতীয় তথা বর্তমান স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে। আর চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রাক্তন হিসেবে। এখানে সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে বর্তমান এবং প্রাক্তনের দ্বন্দ্ব সবটাই তুলে ধরা হবে।
কিন্তু দুই বাংলায় সমান তালে কাজ করে চলার পর, শুটিংয়ের চাপ, ব্যস্ততার মধ্যে কীভাবে নিজেকে এতটা ফিট, আকর্ষণীয় রাখেন জয়া? উত্তরে অভিনেত্রী এবিপি আনন্দকে বলেন, 'আমি জি♓ম ফ্রিক নই। নিজ💛েকে খুব মেনটেন করে রাখতে হবে, চলতে হবে এমনটা কখনই ভাবি না। এমনকি আমি তেমন ডায়েট মানি না। বরং আমি খুব খেতে ভালোবাসি। বিরিয়ানি থেকে শুরু করে সব খাই আমি।' তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ' আমি যে কোনও কিছুর ক্ষেত্রেই মনকে সবার আগে প্রাধান্য দিই। মন যদি চায় কিছু খেতে তাই করি। আবার মন যদি কোনও চরিত্রে মুগ্ধ হয়, মাথায় বসে যায় তাহলে বাকি সবটা এমনই হয়ে যায়।'
আজকাল আকছার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা, অশান্তি, ডিভোর্সের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। সমাজের সঙ্গে সঙ্গে কী দাম্পত্য জীবনের সমীকরণ পাল্টেছে? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, 'এই বিচ্ছেদ, বনিবনা না হওয়া এগুলো কিন্তু আগেও ছিল। কিন্তু আগে মানুষ খানিকটা সমাজের জন্য, অন্যের কথা ভেবে একসঙ্গে থেকে যেতেন। জীবনটা কাটিয়ে ফেলতেন। এখন সেগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা হয়, তাই জানতে পারি। খাতায় কলমে বিচ্ছেদ দেখি।' কেবল বৈবাহিক সম্পর্ক নয়, অনুনয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে? এই বিষয়🦩ে জয়া বলেন, 'আমি আমার তরফে শেষ পর্যন্ত একটা সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি। আমার সঙ্গে সহজে তাই কারও সম্পর্ক খারাপ হয় না। আমি ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার বিশ্বাসী। এমনকি সেটা তখন পর্যন্ত যতক্ষণ না উল্টো দিক থেকে সম্পর্কটা শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। আমি সম্পর্ককে লালন করতে চাই। আমি সম্পর্কের মূল্যায়ন করতে জানি। করতে চাই। সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি তো থাকবেই, কিন্তু কাউকে আমি যখন ভালবাসব তাঁর খারাপটা নিয়েই বাসব।'