রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিꩵতি বাংলাদেশে। ফেনী,কুমিল্লাসহ ওপার বাংলার ৮টি জেলায় জলের তলায়, তলিয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। সর্বহারা লাখ লাখ মানুষ, তলিয়ে গিয়েছে গবাদি পশু। মৃতের সং📖খ্যা কমপক্ষে ১০ জন, চলছে উদ্ধার কাজ।
বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর এবং আর্থিক সহায়তার দরবার করেছেন সে দেশের তারকারা। পরীমনি, অপু বিশ্বাস, জায়েদ খানরা নিজেদের মতো করে বন্যা বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তবে বন্যা দুর্গতদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করে চঞ্চল চৌধুরীর পর এবার রোষের মুখে পড়লেন জয়া আহসান।♎
♈ত্রিপুরায় গোমতী নদীর অববাহিকা এলাকায় রেকর্ড বৃষ্টির জেরেই ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জয়া লিখেছেন, ‘কোনও পূর্বাভাস না দিয়ে প্রলয়ের মতো কী এক বন্যা এসে দেশের পুবদিক একেবারে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। মানুষের অসহায়তার ছবি দেখে মনটা ভারি হয়ে আছে। মানুষই এর উপশম দিতে পারে। মানুষ এক হলে কেমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটাতে পারে, সেটা আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিস্মিত হয়ে দেখেছি। একটা ভয়াবহ রাজনৈতিক বিপর্যয় থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি।’
🌠 ‘ভূতপরী’ অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘এখন তো আমাদের দেশটা গড়ার নতুন সময়, এখন তো হাতে হাত রেখে কাজ করার জন্য আমরা সবাই প্রস্তুত হচ্ছিলাম, রিবিল্ড, রিফর্ম বাং♐লাদেশের স্বপ্ন আমাদের, সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন। আবার এক হলে এই বিপদ থেকেও মানুষকে উদ্ধার করতে পারব। ঢাকা থেকে যে কোন সাহায্যের জন্য আমি প্রস্তুত, আপনাদের কাছে আমার প্রার্থনা যতটা পারি আমরা সবাই এগিয়ে আসলে অনেকগুলো জান বেঁচে যাবে।’
তবে জয়ার এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ধেয়ে এসেছে একের পর এক কটাক্ষ। বাংল🍃াদেশের ছাত্র আন্দোলন নি﷽য়ে সরব হননি নায়িকা, এছাড়াও হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া থেকে বর্তমান বন্য়া পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উপর ক্ষুদ্ধ সে দেশের জনগণের একটা বড় অংশ। এর জেরেই জয়াকে ‘ভারতের চাটুকার’, ‘নাটকবাজ’ বলে ট্রোল করল বাংলাদেশিরা। একজন লেখেন, ‘বন্যাকে ঢাল বানিয়ে দীর্ঘদিন গর্তে থাকা অমানুষেরা বের হচ্ছে, কুমিরের কান্না শুরু!’ অপর একজন লেখেন, ‘আপনার প্রিয় ভারত এটা করেছে । একবার ও তো বললেন না।’ আরেক নেটিজেন লেখেন- ‘নাটক কম করো’।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক হারে প্রচার করা হচ্ছে, ভারত জল ছাড়ার জেরেই নাকি বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ত্রিপুরার ডম্বুর হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা দুম্বুর গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এটা ঠিক, তবে এই কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সেই তথ্য মানতে না-রাজ ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। জানানো হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই ভ♒ারী বৃষ্টি হয়েছে। মূলত বাঁধের নীচে দিকে জলের প্রবাহের কꦚারণেই বাংলাদেশে এই বন্যা হয়েছে।