অনেকের কাছেই অরিজিৎ সিং একটা আবেগের নাম। ব𝓀হু মানুষ নতুন করে বাঁচার অর্থ খুঁজে পান তাঁর গানে। ভাঙা মনের মলম অরিজিতের কন্ঠ, কারুর কাছে ভগবানতুল্য জিয়াগঞ্জের এই ভূমিপুত্র। অথচ যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, এত আলোর রোশনাই, সেই মানুষটা বরাবর থাকতে ভালোবাসেন লাইমলাইট থেকে দূরে। গোটা ভারত অরিজিতকে একবার ছুঁয়ে দেখতে হা-পিত্যেশ করে বসে থাকে, হাজার হাজার টাকার কনসার্টের টিকিট কাটতে কুন্ঠাবোধ করে না। কিন্তু সেই নিয়ে কোনও হেলদোল নেই অরিজিতের।
শিকড়ের প্রতি অরিজিতের টান বরাবরে। তাই তো মায়ানগরীর চাকচিক্য ভুলে জিয়াগঞ্জের বাড়িতেই দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার অরিজিতের। সেখানকার স্কুলেই পড়াশোনা করে অরিজিতের দুই ছেলে, আলি ও জুল। নামীদামী মিউজিক ডিরেক্টররা যাঁকে ফোনে পেতে হিমসিম খান, তিনি কিন্তু প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় স্কুটি চালিয়ে বেরিয়ে পড়েন জিয়াগঞ্জ ঘুরতে। অধিকাংশ সময় অরিজিতের স্কুটির পিছনে দেখা মেলে তাঁর স্ত্র♛ী কোয়েলেরও। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে অরিজিতের একটি ভিডিয়ো। সেখানে হাসিমুখে পড়শিদের খোঁজখবর নিতে দেখা গেল অরিজিতকে। কারণ গ্রামের মানুষের কাছে আজও আদꦯরের সোমু হয়েই রয়ে গিয়েছেন ‘দ্য অরিজিৎ সিং’।
হাতে একটি প্যাকেট নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেঁটে এলেন অরিজিৎ, পরনে সবুজ রঙা ঢলা প্যান্ট ও ছাই রঙা টি-শার্ট। উলটো দিকে দাঁড়ানো প্রতিবেশীদের দেখে হাসিমুখে প্রশ্ন, ‘ভালো আছো সবাই?’ সম্মতি জানিয়ে উলটো দিক থেকে প্রশ্ন গেল অরিজিতের কাছে। ‘তুমি ভালো🐲 আছো?’ গায়কের সটান জবাব- ‘এই চলে যাচ্ছো গো'। আজ বৌদির (কোয়েল) দেখা নেই কেন? এমন প্রশ্ন শুনে হাসিমুখে অরিজিত বললেন, ‘ও এখন রক্ত দিতে গেছে.. তাই এলো না’। তারপর স্কুটিতে স্টার্ট দিয়ে বলে উঠলেন, ‘এই চলছে, আর দাঁড়াতে পারব না’।
অরিজিতের গানে মুগ্ধ হবেন নাকি তাঁর জীবনধারায়? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বড়ই কঠিন। যখন তিনি মঞ্চে গিটার হাতে গান ধরেন, শ্রোতারা অন্য কোথাউ হারিয়ে যান। তবে স্টেজ আর রেকর্ড🐽িং স্টুডিওর বাইরে অরিজিৎ হারিয়ে যান তাঁর প্রাণের শহর জিয়াগঞ্জে। নিজের শিকড়েই তাঁর জীবনের পূর্ণতা। অত্য়ন্ত সাদামাটা জ📖ীবন কাটাতে অভ্যস্ত অরিজিৎ।
আরও পড়ুন-এত জঘন্য! অরিজ🦩িতের গান শুনে আতঙ্কে কেঁদে ফেলেন অনুরাধা পড়োয়াল, উগরোলেন ক্♐ষোভ
মাত্র আঠেরো বছর বয়েসেই ফেম গুরুকুল-এর মাধ্য়মে গোটা দেশের মন ছুঁয়েছিলেন অরিজিৎ। এরপর লম্বা সময় মায়ানগ🦂রীতে স্ট্রাগল করেছেন। ‘আশিকী ২’ ছবির ‘তুমি হি হো’ গান অরিজিতের ভাগ্য় বদলে দেয়। আর ফির🐼ে তাকাতে হয়নি। খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেও মাটিতে পা দিয়ে চলার জাদুমন্ত্রে দীক্ষিত গায়ক।