ছেলের কাস্টডি চাননি কাঞ্চন মল্লিক। কাঞ্চনের তরফে ডিভোর্স নোটিশ পাওয়ার পর কাঞ্চন-পিঙ্কির ১০ বছরের ছেলে ওশ নাকি জানিয়েছিল, অ্যাপেন্ডিক্স যেমন শরীর থেকে বাদ দেওয়া যায় সহজে, অপ্রয়োজনীয় সম্পর্কগুলোও মুছে ফেলাটা কঠিন নয়। এক সাক্ষাৎকারে পিঙ্কি এ♌ইসব কথা জানান কাঞ্চনের তৃতীয় বিয়ের পর।
ডিভোর্সের পর কাঞ্চন জানিয়েছিলেন, মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করতে চাননি, তাই তিনি কাস্টডি দাবি করেননি। এবার পিঙ্কির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অ𝕴ভিযোগ প্🥀রাক্তন স্বামীর। প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন পিঙ্কির লালনপালনকেও। কাঞ্চন বলেন, ছেলের ভিসিটিং রাইটের জন্য তিনবার আবেদন করেছিলেন কিন্তু রাজি হননি পিঙ্কি।
নিরপেক্ষ জায়গা🎃য় কাঞ্চন-ওশের দেখা করা না-মঞ্জুর করেন পিঙ্কি, তাঁর দাবি ছিল ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কাঞ্চনকে পিঙ্কির বাড়ি যেতে হবে। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরপাড়ার বিধায়ক বলেন, ‘চার নম্বরবার কড়াভাবে আদালত বললে আসে কোর্টে। কোর্টের ঘরে ছেলেকে নিয়ে এসেছিল। আমি সেটা চাইনি। ওই দেখাটার পর আমি কখনও চাইনি নিজের ছেলেকে কোর্টে টেনে আনব’।
কাঞ্চন যদি ছেলেকে দেখতে না♏-চাইত তাহলে দু-দিন, একদিন, পুজোর সময়টা, আমার জন্মদিনটা আমি তার সঙ্গে কাটাতে যেতাম না। (হাততালি মেরে দেখিয়ে) এক হাতে বাজে না তো। আমি চাই না ছেলেকে এনে ক্যামেরার সামনে বসাই। আমি চাই সে মায়ের আদরে বড় হোক। কিন্তু একটাই কথা চাই, শৈশব শৈবরের মতো থাক।' এরপর নাম-না করেই পিঙ্কির সন্তান লালন-পালন নিয়ে খোঁচা দিলেন কাঞ্চন। বিধায়ক বলেন, 'শৈশবকে প্রস্ফুটিত হতে দিক। কেউ প্রৌঢ়ত্বে গিয়ে শৈশবের মতো কথা বললে যেমন সেটা আন-ন্যাচরাল লাগে, তেমনই কেউ শৈশবে যদি বৃদ্ধের মতো কথা বলে সেটা আন-ন্যাচরাল লাগে। আমি চাই, আমার ছেলের শৈশবটা প্রস্ফুটিত হতে দেওয়া হোক'।
ছেলের জন্য যোগ্য খোরপোশ দিয়েছেন, জোর গলায় বলেন কাঞ্চন। সবটা যেমন দেখাতে নেই, তেমনই সবটা শোনানোর দরকার নেই পিঙ্কির উদ্দেশে পরোক্ষে বার্তা কাঞ্চনের। কাঞ্চনের তৃতীয় স্ত্রী শ্রীময়ী বলেন, ধুমধাম করে বিয়েটা কাঞ্চন শুধুমাত্র তাঁর জন্ꦿযই করেছেন। শ্রীময়ীকে বিয়ে করে ‘বেশ করেছি’ বললেন কৌতুকাভিনেতা।
প্রাক্তন কাঞন নয়, ছেলের ꦰমধ্যে শ্বশুরমশাইয়ের ছাপ দেখতে পান। কার্তিক মল্লিককে ‘সৌম্যকান্তি’, ‘নিজের চা-কফি খাওয়ার পার্টনার’ বলে দাবি করেছিলেন পিঙ্কি। অথচ মৃত্যুশয্যায় এমনকღি তার পরেও সেই মানুষটার পাশে ছিলেন না পিঙ্কি, অভিযোগের সুর কাঞ্চনের কন্ঠে। বলেন, ‘আমার ছেলেকে নন্টু বলত আমার বাবা, নাড়ুগোপাল বলত। চেয়েছিল (নাতি) বিজায়ায় আসুক। বা জন্মদিনে দাদু-ঠাকুমার কাছে এসে একটু পায়েস খাক। এগুলো হতে পারত।’
‘দু-বার ডিভোর্সি কাঞ্চন মল্লিককে বিয়ে করে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছি আমি, আপনাদের জবাব দেব কেন?’ কড়াভাবে জানিয়ে দিলেন শ্রীময়ী।&nbs🌜p;