কঙ্গনা রানাওয়াౠতকে পরবর্তী দেখা যাবে ‘এমার্জেন্সি’-তে। সেট থেকে ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী সম্প্রতি। এই ছবিতে শুধু অভিনয় আর পরিচালনা করছেন না, রয়েছেন প্রযোজনার দায়িত্বেও। ছবিতে কঙ্গনাকে দেখা যাবে ইন্দিরা গান্ধির চরিত্রে।
কঙ্গনা সেট থে💦কে যে তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে তাঁকে প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধির মতো তার পোশাক, চুল এবং মেকআপে ক্যামেরার পিছনে বসে এবং মাꦅইক্রোফোনে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে লিখেছেন, কীভাবে ছবির কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে তাঁকে সমস্ত সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয়েছে। পোস্টে কঙ্গনা ক্রুদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সঙ্গে ভক্তদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা 'নিরাপদ জায়গায়' আছেন, তাই তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।
কঙ্গনা ক্🗹যাপশনে লেখেন, ‘আমি আজ একজন অভিনেতা হিসাবে এমার্জেন্সি-র কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে, আমার জীবনের একটি দুর্দান্ত গৌরবময় অধ্যায়ও সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত হল। মনে হতেই পারে আমার এই যাত্রাটি খুব সহজ ছিল𓄧, কিন্তু তা একেবারেই নয়।
সমস্ত সম্পত্তি বন্ধক 🐼রাখা, নিজের নামে যা যা ছিল সব থেকে শুরু করে শ্যুট শুরু করার পর-পরই ডেঙ্গু ধরা পড়া, ভয়ঙ্করভাবে লো ব্লাড সেল কাউন্ট, সঙ্গে চরিত্র নিয়ে একাধিক চ্যালেঞ্জ। 🧔এতদিন আমি এসব জানাতে চাইনি, কারণ চাইনি লোক অকারণে আমায় নিয়ে দুশ্চিন্তা করুক। বা সেই সমস্ত মানুষদের আনন্দ দিতে চাইনি যারা আমার অবনতি দেখতে চায়, আমার ক্ষতি চায়…’
‘আপনাদের ༺সঙ্গে আরেকটা যে কথা শেয়ার করতে চাই তা হল, আপনার স্বপ্ন সার্থক করার জন্য কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট তাহলে বলব ভুল ভাবছেন। যতই কঠোর শ্রম দিন না বা আপনি তাঁর যোগ্য হন, আপনাকে সীমাহীন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তবে ভেঙে পড়বেন না। যতক্ষণ পারবেন নিজেকে শক্ত রাখুন। জীবন যদি আপনাকে বাঁচায় আপনি ধন্য, আর যদি টুকরো টুকরোও করে দেয়, তবে উদযাপন করুন। কারণ পুনর্জন্মের সময় এসেছে... এটা আমার জন্য পুনর্জন্ম। তবে এটা সম্ভব করার জন্য আমি আমার টিমকে ধন্যবাদ জানাই। যারা আমায় ভালোবাসেন, তাঁদের জানাতে চাই আমি এখন নিরাপদ জায়গায় আছি। না থাকলে এত কথা শেয়ার করতে পারতাম না। আমার জন্য চিন্তা করার দরকার নেই। শুধু আশীর্বাদ আর ভালোবাসা দরকার।’
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত, টানা ২১ মাস ভারতে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধান🌸মন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি। কঙ্গনার এই ছবিতে সেই সময়টাই তুলে ধরা হয়েছে। কঙ্গনা আগেই বলে দিয়েছেন এমারজেন্সি কোনও বায়োপিক না, এটা একটা রাজনৈতিক ছবি। কঙ্গনার কথায়, ‘ইন্দিরা গান্ধির বায়োপিক নয় এই ছবি। বরং এটা একটা বড় প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরে। আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে এটা একটা রাজনৈতিক ছবি যা আমাদের জেনারেশনকে সাহায্য করবে বর্তমান ভারতের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে বুঝে নিতে।’