কঙ্গনা বনাম উদ্ধব সরকারের দ্বৈরথ এখনও থামেনি। সেপ্টেম্বরে শিবসেনা নেতাদের সঙ্গে কঙ্গনার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের মাঝেই বিএমসির তরফে একদিনের নোটিশে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় অভিনেত্রীর পালি হিলসের অফিস বাড়ি। বিএমসির এই পদক্ষেপ নিয়ে বম্বে হাইকোর্টে বড় জয়ও পান কঙ্গনা, মামলা আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এবার নায়িকার খারের বাসস্থান নিয়ে আদালত জানাল বিএমসি কর্তৃক অনুমোদিত প্ল্যানিংয়ে হেরফের করে বড়সড় নিয়ম ভেঙেছেন কঙ্গনা। তিনটি পৃথক ফ্ল্যাটকে একত্রিত করে ফ্লোর স্পেশ ইন্ডেক্স (FSI)-এ বদল এনেছেন, যা কোনওদিনই গ্রাহ্য নয়। বিএমসির তরফে খারের ফ্ল্যাটেও বুলডোজার চলতে পারে এই আশঙ্কায় অব্যহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কঙ্গনা। তবে হতাশ হতে হল অভিনেত্রীকে। 'আমি দেখতে পাচ্ছি আবেদনকারী তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক, সেগুলিকে তিনি একটি ইউনিটে পরিণত করেছেন', গত ১৭ ডিসেম্বর শহরের এক সিভিল আদালত বিচারক এলএস চৌভান কঙ্গনার আবেদন খারিজ করে একথা জানান।তিনি যোগ করেন, ‘উনি নিজের মতো করে নিকাশি ব্যবস্থা,কমন প্যাসেজে রদবদল করেছেন নিজের সুবিধা মতো, ফ্লোর স্পেশ ইন্ডেক্সকেও উনি যোগ করেছেন বাসযোগ্য অঞ্চল হিসাবে।এগুলি গম্ভীর নিয়ম লঙ্ঘন, অনুমোদিত পরিকল্পনা এখানে মেনে চলা হয়নি যা নির্দিষ্ট অথোরিটি (বিএমসি) দিয়েছিল’, বিচারকের রায়ের কপি গত ২৮ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এসেছে।ফ্লোর এরিয়া রেসিও বা FAR কোনও এলাকার সর্বোচ্চ সীমা যেখানে নির্মাণকার্য চালানো যেতে পারে। বিএমসির তরফে জারি নোটিশের পালটা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। বিএমসি MRTP আইনের ৫৩ (১) ধারা অনুসারে ২০১৮ সালের মে, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে তিনটি নোটিশ জারি করেছিল কঙ্গনার নামে। সেখানে বলা হয়েছিল কঙ্গনা খারের অর্কিড ব্রিজ বিল্ডিংয়ের অবস্থিত তিনটি ফ্ল্যাট যেন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন, যে পরিকল্পনায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সেই অনুসারে। অর্থাত্ তিনটি ফ্ল্যাটকে যেন পৃথক করে দেওয়া হয় তা সাফ জানিয়েছিল বিএমসি। আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি কঙ্গনার হয়ে আদালতে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, ঠিক কী ধরণের পরিবর্তন বিএমসি চাইছে, এবং কোন কোন নির্মান গুলি বিএমসির কাছে অবৈধ সেগুলি স্পষ্ট নয়। যদিও বিএমসির আইনজীবী ধর্মেশ ব্যাস পালটা জবাব দেন, নোটিশ জারির আগে বিএমসির সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কঙ্গনার খারের আবাসন টহল দিয়ে দেখেছে এবং সেখানে ৮টি নিয়ম লঙ্ঘন চোখে পড়েছে।