কাপুর পরিবারের কোনও এক অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত করিনার বিখ্যাত দাদু রাজ কাপুর, তার পরনে সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা। দাদু পাশে বসেই খাবার খাচ্ছিলেন ছোট্ট করিনা, পরেছিলেন সালোয়ার স্যুট। করিনাকে চামচে করে খাইয়ে দিতে ব্যস্ত মা ববিতা কাপুর, তাঁর পরনে শাড়ি। পাশে দেখা যাচ্ছে করিশ্মা কাপুরকেও। করিশ্মাও সালোয়ার স্যুট ꦆপরে রয়েছেন, কিশোরী করিশ্মা তখন কোল্ড ড্রিংস খেতে ব্যস্ত। পি✤ছনে পরিবারের অন্যান্যরাও ধরা পড়েছেন।
স্মৃতির পাতা থেকে এমনই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন কাপুর নন্দিনী করিনা। লিখেছেন, 'লোলো সফট ড্রিংস খাচ্ছে, আর আমি বিরিয়ানি'। করিনার পোস্টে কমেন্ট করেছেন অনেকেই। তার মধ্যে রয়েছেন ননদ সাবা আলি খান পতৌদি। এই একই ছবি ইনস্টাস্টোরিতে শেয়ার করে করিশ্মা লিখেছেন,✅ তাঁরাꦛ সবসময়ই বিরিয়ানি পছন্দ করতেন। খাদ্যরসিক পরিবার।
এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘আপ🍎নার দাদাজি যেভাবে বসে রয়েছেন, সেটা দেখে ভালো লাগছে।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘আপনি বিরিয়ানির কথা বলছেন আমি আপনার দাদুকে দেখছি’। এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, করিনা কাপুর ও করিশ্মা কাপুর হলে রাজ কাপুরের বড় ছেলে রণধীর কাপুরের দুই মেয়ে। অর্থাৎ বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম পুরোধা রাজ কাপুরের নাতনি তাঁরা।
তবে এই প্রথম নয় এর আগেও দাদু রাজ কাপুর, দাদুর সঙ্গে দিদি করিশ্মা এবং তাঁর বন্ডিং নিয়ে মুখ খুলেছেন করিনা। ছোটবেলায় করিনার সিদ্ধিমা নাম রেখেছিলেন রাজ কাপুর। পরে যদিও সেই নাম ববিতার পছন্দ না হওয়ায় তিনি বদলে দেন। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেছিলেন, তিনি ছোটবেলায় দিদিকে হিংসে করতেন, কারণ দাদু করিশ্মাকেই বেশি ভালোবাসতেন, তাঁর নীল চোখের জন্য। বেবোর অভিমান, দাদু রাজ কাপুর সব চকোলেট দিদিকে দিয়ে✨ দিতেন। করিনার কথায়, দাদুর ঘরে একটা ফ্রিজ থাকত, তাতে থাকত আম। ওই ঘরে লোলো (করিশ্মার ডাক নাম) ছাড়া আর কেউ ঢুকতে পারতেন না।
বর্তমানে রাজ কাপুরের সন্তানদের মধ্যে জীবত রয়েছেন করিনার বাবা অর্থাৎ রাজ কাপুরের বড় ছেলে রণধীর কাপুর, আর রাজ কাপুরের মেয়ে রিমা জৈন। বাকি তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে রাজীব কাপুর, ঋষি কাপুর, ঋতু নন্দা আর কেউই বেঁচে নেই। ঋষি কাপুরের ছেলে রণবীর ও মেয়ে ঋদ্ধিমা♉ রয়েছেন। রণবীর-ঋদ্ধিমা করিনা-করিশ্মার কাকার ছেলে-মেয়ে।