কেকে-র অকাল মৃত্যুওর খবরে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। মঙ্গলবার কলকাতায় নজরুল মঞ্চে পারফর্ম করবার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই থেমে যায় কেকে-র হৃদস্পন্দন। গানে গানেই বিদায় নিয়েছেন কেকে, তবে গায়ককে ‘অলবিদা’ জানাতে গিয়ে মন কাঁদছে অনুরাগীদের।
মুম্বইয়ে ভারসোভা শ্মশানে কেকে-র শেষকৃত্যে সম্পন্ন হল বৃহস্পতিবার। এদিন সকাল থেকেই গায়কের ভারসোভার বাড়িতে ছিল উপচে প🅺ড়া ভিড়। কেকে-র অন্তিম দর্শনের জন্য হাজির ছিলেন বলিপাড়ার সঙ্গীত জগতের রথী-মহারথীরা। প্রাণের বন্ধুকে বিদায় জানাতে এদিন পৌঁছেছিলেন অভিজিৎ, শ্রেয়া ঘোষাল, শংকর মহাদেবনরা। মাত্র ৫৩ বছর বয়সেই কেকে-র সুর চিরতরে থেমে যাবে, তা কেউ বুঝতে পারেননি! এদিন সবার চোখই ছিল অশ্রুসজল।
এদিন দুপুর ১টার পর ছেলের কাঁধে চড়ে শেষবারের মতো ভারসোভার বাড়ি থেকে বার হন কেকে। ফুল-মালা-চন্দনে সাজানো কেকে-র দেহ। যেন গভীরঘুমের দেশে রয়েছেন গাꦫয়ক। তাঁর মৃত্যু নিয়ে এত বিতর্ক, এত প্রশ্ন- কিন্তু তিনি এখন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
ভারসোভা মহাশ্মশানে কেকে-র অন্ত্যেষ্টি কাজ সম্পন্ন করেন ছেলে নকুল, হাজির ছিলেন মেয়ে তামারাও। দেখা মিলল বিধ𒆙্বস্ত কেকে-জায়া জ্যোতির।
ঠাকুরপুকুরের বিবেকানন্দ কলেজ এবং উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে অংশ নিতেই কলকাতায় এসেছিলেন কেকে। সোমবারের পর মঙ্গলবার গুরুদাস কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে পারফর্ম করেন কেকে। দর্শকাসনের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি দর্শক ওইদিন অডিটোরিয়ামে ছিল বলে খবর। প্রচণ্ড গরমে দরদ🍎রিয়ে ঘামছিলেন গায়ক, অস্বস্তির ছাপ ছিল তাঁর চোখেমুখে, তবুও মাঝপথে মঞ🍃্চ ছাড়েননি।
কিন্তু সেই চালিয়ে যাওয়া থাকার জেদটাই যেন কাল হল! পারফরম্যান্স শেষে হোটেলে ফেরেন তারকা। পায়ে হেঁটেই পৌঁছান নিজের রুমে।হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায় লিফটে মাথা নীচু করে দম নিতে দেখা গি﷽য়েছে তাঁকে। এরপর ঘরে ঢুকেই মুখ থুবড়ে পরে জ্ঞান হারান কেকে। এরপর তাঁকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘ🍸োষণা করে চিকিৎসকরা।
কেকে-র মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ, তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হয়েছেন গায়ক। বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তে হয়েছে কেকে-র। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে রবীন্দ্র সদনে সম্মান জানানো হয় গায়ককꦜে। কলকাতা পুলিশ গান স্যালুট দেয় ‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল’ খ্যাত গায়ককে।