মল্লিকবাড়ির দুর্গাপুজো নিয়ে বাঙালিদের মধ্যে এখনও একটা ক্রেজ আছে। শহর෴ে যে কটা বাড়ির পুজো বিখ্যাত, তার মধ্যে অন্যতম মল্লিকদের পুজো। যেখানে গেলেই চোখে পড়ে রঞ্জিত মল্লিক থেকে কোয়েল, নিসপাল সবাই ব্যস্ত পুজোর ছোট-বড় কাজে। দুর্গাপুজোর আগে দꦿেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ছোট্ট ক্লিপিংস সম্প্রতি নিজের সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সঙ্গে সকলের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘তথাস্তু ভগবান বলে সত্যি কেউ আছে?’
আর মাসখানেক পরেই আসবে মা দুগ্গা। কাঠি পড়বে ঢাকে। সব মন খারাপ ভুলে মাতবে বাঙালি। আর তার আগে দুর্গা পুজোর থ্রোব্যাক ভিডিয়ো শেয়ার করেই যেন সেই নস্টালজিয়া খানিক উসকে দিলেন অভিনেত্রী। সঙ্গে মনে প্রশ্ন জাগাল, কে এই ‘তথাস্তু ভগবান’! কোয়েল জানালেন, ছেলেবেলায় তিনি এই ‘তথাস্তু ভগবান’-কেই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। কারণ কি? কোয়েলের দাবি, ‘রামায়ণ, মহাভারত দেখে বড় হয়েছি। যখনই দেখেছি কেউ কিছু প্রার্থনা করছেন, তাতে কোনও এক𒁃💖জন দেবতা বলছে ‘তথাস্তু’। মানেই সফল হয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই হয়তো এই বিশ্বাসটা হয়েছিল।’
তা এই ভগবানের কাছে ক্লাস ১-২-তে পড়ার সময় একটা আজব ইচ্ছে রেখেছিলেন। যেটার কারণে পরবর্তীতে খুব মন খারাপও হয়েছিল তাঁর। কোয়েল জানালেন, ‘পুজোর আগে একটা চেকলিস্ট তৈরি করতাম প্রত্যেক বছর। কী কী চাইব এবার ভগবানের কাছে। কোনও একবার একজন শিক্ষিকার কাছে বকুনি খেয়েছিলাম। দোষটা আমারই ছিল যদিও। পরে দেখেছিলাম উনি আসছেন না অনেকদিন। মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল খুব। তারপর সেই ক্লাস ওয়ান বা টুতেই একটা শিক্ষা পেয়েছিলাম-- ক🎃ারও ওপর যতই রাগ হোক না কেন, কখনও সেই রাগের জন্য তার খারাপ ভাবতে নেই। কারণ সত্যিই যদি খারাপ হয়, নিজেরই মনখারাপ লাগে। আমার অন্তত লেগেছিল। পৃথিবীতে🤪 সকলে নিজেদের মতো করে ভালো।’
মল্লিরবাড়ির পুজোপ্রসঙ্গে স্মৃতিচারণায় কোয়েল জানান, ‘ছোড়দি আ♔মাকে ফ্রকের উপর শাড়ি পরিয়ে দিত। ছোড়দিকে আমি লিপস্টিক পরিয়ে দিতাম। মা আমাকে লিপস্টিক পরতে দিত না। বলত বড় হয়ে তারপর পরবে। আমরা দু'জন বাড়ির যারা বয়ꦰস্ক নীচে আসতে পারে না, তাঁদের ভোগ দিয়ে আসতাম।’