বলিউডে পা রাখছেন কুমার শানু কন্যা শ্যানন কে। খুব শীঘ্রই বিবেক দাহিয়া এবং সঞ্জয় মিশ্রের ছবি ‘চল জিন্দেগি’র হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছেন শ্যানন। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন শ্যানন। সম্প্রতি নিজের ছবি, ব্যক্তিগত জীবন, কেরিয়ার🔥🐓 সহ নানান বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন কুমার শানুর এই দত্তক কন্যা।
‘চল জিন্দেগি’ ছবি প্রসঙ্গে শ্যানন বলেন, ‘ছবিতে আমি একজন সঙ্গীতে ছাত্রী, যে কিনা মার্কিন মুলুক থেকে ভারতে এসেছে, লোকসঙ্গীত শিখবে বলে। যে তার বাবা-মাকে একা ভ্রমণে বেড়ানোর জন্য রাজি করায় এবং বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়। এই ছবিতে আমি আমার বাবার সঙ্গে গান গেয়েছি, যা সম্মানজনক। ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’ শানু কন্যার কথায়, ‘উনি আমার কাছে একটি স্কুলের মতো। এই ছবিতে কাজ করা একটা চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল। এই ছবির জন্য আমি হিন্দিও শিখেছি যা বেশ চ্যালেঞ্জ ছিল। বিবেক স্যার এবং সঞ্জয়🌠 স্যার সেক্ষেত্রে আমায় ভীষণ সাহায্য করেছেন। যদিও আমার বেশিরভাগ সংলাপ🐬 ইংরেজিতে। ’
প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমের দেশে সঙ্গীতশিল্পী হিসাবেই নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন শ্যনন কে। সেই কেরিয়ার ছেড়ে বলিউডে অভিনেত্রী♑ হতে কেন এসেছেন, সেপ্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। শ্যাননের কথায়, ‘বেশ কয়েকবছর আগে ইরফান খান স্যারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল, তখন উনি আমায় এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমার দেখা অন্যতম নিঃস্বার্থ মানুষ উনি, যাঁর সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন আমার অধরাই রয়ে ༺গেল। এছাড়াও মার্কিন রেডিও চ্যানেলে কাজ করার সময় একবার গোবিন্দা স্যারের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম, উনিও আমায় এই পরামর্শ দিয়েছিলেন।’
নামী গায়কের মেয়ে হওয়ার পরও সাধারণ জীবনযাপন ဣকরেছেন, এপ্রসঙ্গে শানু কন্যা বলেন, ‘আমি লন্ডন ও লস অ্যাঞ্জেলেসে বড় হয়েছি তাই আমাকে নিজের কাজ নিজেকেই কর🌠তে শেখানো হয়েছে, ভারতীয় শিশুদের মতো আদরে বড় হইনি। আমাকে মূল্যবোধ শেখানো হয়েছে, সমস্ত মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে শেখানো হয়েছে। আমি এমন একজন বাবা (কুমার শানু)র মেয়ে এর জন্য ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
পশ্চিমে গানের কেরিয়ার নিয়ে শানু কন্যা বলেন, ‘আমি যখন ওখানে কেরিয়ার শুরু করি, ওখানে নতুন করেই সবকিছু শুরু করতে হয়েছে। কারণ ওখানে আমার বাবাকে কেউ চেনেন না। তবে ওখানে সবথেকে যে সমস্যা ছিল তা হল বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই। যেখ🥀ানে স্কুল থেকে কাজের জায়গা সর্বত্র বুঝিয়ে দেওয়া হত আমি যোগ্য নই। তবে কীভাবে অপমানের মোকাবিলা করব তা তখন জানা ছিল না, অবসাদে ভুগতাম। আমার বেশ মনে আছে, ওখানে আমি ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁয় গান করে কেরিয়ার শুরু করি। সেটা ছিল ২০১৭ সালꦿ, তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই।’