গত ২৭শে নভেম্বর গোপনে বিয়ের পর্ব সেরেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পাত্রী নায়কের বন্ধু, অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। গত এক সপ্তাহে এই বিয়ে নিয়ে বিতর্কের জল গড়িয়েছে অনেকদূর। তবে বিতর্ককে থোড়াই কেয়ার! হাড়হিম করা ঠাণ্ডায় এখন হানিমুনে পরম-পিয়া। আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে রয়েছেন তাঁরা। আরও পড়ুন-হানিমুনে পরম-꧃পিয়া! ট্রোলিংকে বুড়ো আঙুল, কোথায় গেলেন টলিপাড়ার নবদম্পতি?
ডাবলিনের টুকরো ঝলক উঠে এসেছে পিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। কখনও ডাবলিনের স্ট্রিট আর্ট তো কখনও মালাহাইড ক্যাসেলের ছবি ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরেছেন পিয়া। এরই সঙ্গে তাঁর ইনস্টা স্টোরিতে উঠে এল নিজওেকে ভালোবাসার বার্তা।
অনুপমের সঙ্গে সম্পর্কের পাঠ চুকিয়ে পরমে ঘর বেঁধেছেন পিয়া। এর জেরে সোশ্যালে কম হেনস্থার মুখে পড়েননি 🧸তিনি। সরাসরি এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি নবদম্পতি। তবে নিজের সাম্প্রতিক ইনস্টা স্টোরিতে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন পরম-ঘরণী। লাভ চিহ্নের ভিতরে লেখা- ‘একটা কথা মনে রাখবেন, নিজেকে ভালোবাসুন। আপনার ভালোবাসার মানুষকে যতটা ভালোবাসেন ঠিক ততটা’।
২০১৫ সালের ৬ই ডিসেম্বর অনুপম রায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন পিয়া। সব ঠিকই চলছিল, তবে ২০২০ সালে আচমকাই ছন্দপতন। অনুপমের সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য আজও পিয়ার স্মৃতি ঝলমলে। দু-বছর আগে বিয়ে ভাঙলেও প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো মুছে দেননি গায়ক। একসঙ্গে কলকাতা হেঁটে দেখার স্মৃতি থেকে শুরু করে আরও কত রঙিন মূহূর্ত। যাℱ আজ সবই ঝাপসা।
ওদিকে ডাবলিনের বিখ্যাত মালাহাইড ক্যাসেলের টুকরো মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেন পিয়া। তাতে উঠে এল ক্র🐲িসমাস ট্রি। ক্যাপশনে লেখা- ‘ডাবলিনে ইতিমধ্যেই ক্রিসমাসের মরসুম’। ডাবলিনের ‘ভাইবস’ দারুণ পছন্দ হয়েছে তাঁর সেকথাও জানিয়েছেন পিয়া।
গত সোমবার যোধপুরপার্কের বাড়িতে সইসাবুদ করে বিয়েটা সেরে ফেলেন পরমব্রত-পিয়া। দু-বছর ধরে গোপনে প্রেমপর্ব চলছিল। দীর্ঘ কেরিয়ারে অজস্র নায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে পরমব্রতর। ডাচ সুন্দরী ইকার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বসতেও বসা হয়নি। শেষে পিয়াত🐬েই থিতু হলেন পরমব্রত।
বিয়ের পর মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে পরমব্রত বলেছিলেন, ‘বিয়েটা প্রথম থেকেই খুব প্রাইভেট🅘 রাখতে চেয়েছি। একেবারে ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে। যে ফর্মালিটিগুলো থাকে আর কী, রীতি মেনে কিছু হয়নি। এখন এক বন্ধুর বাড়িতে ইনভাইট করেছে, সেখানে যাচ্ছি। দেখি পরে বড় করে কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে’।