বৈধব্য যন্ত্রণা নেমে এল অভিনেত্রী-প্রাক্তন সাংসদ মুনমুন সেনের জীবনে। ৭০ বছর বয়সে স্বামী, ভরত দেব বর্মাকে হারালেন সুচিত্রা কন্যা। তাঁদের ৪৬ বছরের দাম্পত্যে এদিন ইতি পড়ল। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ভরত দেব বর্মা। বয়স হꦚয়েছিল🅠 ৮৩ বছর।
এদিন সকালে শরীরে অস্বস্তিবোধ করেন ভরতবাবু। দ্রুত খবর যায় ঢাকুরিয়ারღ বেসরকারি হাসপাতালে, সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই সব শেষ। বাবাকে হারালেন মুনমুনের দুই কন্যা রিয়া ও রাইমা সেন।
আদ্যোপান্ত রোম্যান্টিক মানুষ মুনমুন সেন। একটা সময় তাঁকে দেখ♔ে হাজারো পুরুষ হৃদয়ের ধুকপুকানি বেড়ে যেত। কিন্তু কেরিয়ারের মধ্যগগণেই নিজের মনের মানুষকে খুঁজে নিয়েছিলেন মুনমুন সেন। হাজারো পুরুষ হৃদয়ে ঝড় তোলা মুনমুন সেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ছেলে ভরত দেব বর্মাকে বিয়ে করেছিলেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।
ভরতের মা ইলা দেবী ছিলেন কোচবিহারের রাজকুমারী, যার ছোট বোন গায়ত্রী দেবী জয়পুরের মহারানি। ১৯৪১ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ইলা দেবী ও ত্রিপুরার🍬 মহারাজা রমেন্দ্রকিশোর দেব বর্মার ছেলে ভরতের।
দু-মাস আগেই বাবার জন্মদিনে আদুরে পোস্ট শেয়ার করেছিলেন 🐓রাইমা। বাবা তাঁর চোখে ‘রকস্টার’ এবং ‘সেরা বাবা’ জানান অভিনেত্রী। ৪৫ ছুঁইছুঁই রাইমা অবিবাহিত, বাবা-মা'র সঙ্গেই থাকতেন তিনি।
১৯৭৮ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মুনমুন সেন ও ভরত দেব ভর্মা। অনেকেরই হয়ত জানা নেই, বান্ধবীর ডেটকে বিয়ে করেছিলেন মুনমুন। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীও জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের প্রথম দেখা একটা বিয়ে বাড়িতে। আমার এক বান্ধবী নাসরিন আলিকে (মিস ক্যালকাটা) ডেট করতে এসেছিল আমার বর্তমান স্বামী।’ ঘটনাক্রমে ওইদিন মুনমুন🍎 সেনকে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন ভরত দেববর্মা। মুনমুনের কথায়, ‘দেখেই মনে হয়েছিল, বাহ! ছেলেটি খুব ভালো…পুরো ম্যারেজ মেটেরিয়াল’।
মুনমুন সেন আরও বলেন, ‘পার্টনারকে বন্ধু ভাবতে হবে সবার আগে। একেবারেই অপরকে অ্যাবিউজ করো না, কটূ কথা বলো ⛦না🌳, দোষারোপ করো না। একে অপরকে সময় দাও।’