'নার൲ীবাদ-এ বিশ্বাস করি না। এটাই আসলে সমাজকে ধ্বংস করছে।' 'দ্য রণবীর শো'-তে এসে এমনটাই মন্তব্য করেছেন নোরা ফতেহি। নোরার কথায়, 'নারীবাদের যুগে অনেক পুরুষের মগজ ধোলাই হচ্ছে, নারীবাদের নামে যেসব কথা তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে বিশ্বাস নেই।'
ঠিক কী বলেছেন নোরা?
‘নারীবাদ’ (feminism) প্রসঙ্গে নোরা বলেন, ‘এই ধﷺারণায় আমার দরকার নেই। নারীবাদ শব্দটা আসলে একটা সি…। এটা একটা ঢেউয়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আমি বিশ্বাস করি না। আসলে আমি মনে করি, নারীবাদ আসলে আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পাশ্চাত্য-প্রাচ্যের সামাজিক ধ্যান-ধারণার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখানে নারীবাদ-এর নামে বলা হচ্ছে, পুরুষরা আসলে মেয়েদের স্বাধীনতায় বাধা, পুরুষরা খারাপ, বিয়ে কোরো না, সন্তানের জন্ম দিয়ো না, এগুলো সব পুরনো ধ্যান-ধারণা, এইসব….। এগুলো আখেরে সমাজের ক্ষতিই করছে, পারিবারিক বন্ধন নষ্ট করছে। পুরুষরা খাবার সরবরাহকারꦺী, উপার্জনকারী এবং মহিলা লালনপালনকারী, এটাতে খারাপ কী আছে! আমার তো কই খারাপ মনে হয় না! নারীবাদকে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। আমি মনে করি, মাহিলারা লালন-পালনকারী, হ্যাঁ তবে তাঁদেরও কাজ করা উচিত এবং তাঁদেরও নিজস্ব জীবন থাকা উচিত এবং স্বাধীন হওয়া উচিত। তবে সেটাকে নারীবাদ-এর নামে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন-‘মার্ডার’-এর সেই Hot জুটি! 𒐪দীর্ঘ ২০ বছর পর মল্লিকাকে কাছে পেয়ে কী করলেন ইমরান হাশমি
এখানেই শেষ নয়, নোরার কথায়, ‘পুরুষদের উপার্জনকারী হতে হবে, সমর্থক হয়ে পাশে থাকতে হবে এবং আরও বেশি প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা নিতে হবে। অনেক পুরুষ এখন আর এটা করতে চান না। এখন তো পুরুষরা সকল ক্ষেত্রেই মহিলাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যাচ্ছেন, সেটা ঠিক নয়। এতে সমস্যাই হচ্ছে বেশি। নারীবাদের যুগে এখন অনেক পুরুষের মগজ ধোলাই হয়েছে...। যদি কোনও পুরুষ আরও বেশি উপার্জন করেন এবং রক্ষক হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে তো মহিলারাও পরিবারে এবং সন্তানের লালনপালনে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারেন। সকলেই টেবিলে কিছু না কিছু না কিছু নিয়ে আসেন। কেউ যদি টেবিলে অর🌺্থ, খাবার, আশ্রয় নিয়ে আসেন তবে আমাকেও সন্তানদের দায়িত্ব নিতে হবে , মা হওয়া, বাড়ির যত্ন নেওয়া, রান্না করা ইত্যাদি করতে হবে। প্রত্যেকেই যদি একই জিনিস টেবিলে ন🐎িয়ে আসে, তাহলে অন্য বিষয়গুলিকে কে মন দেবেন? এতে আখেরে সামঞ্জস্য নষ্ট হচ্ছে।’