এই মুহূর্তে বলিউড প্রযোজকদের পছন্দের তালিকায় একদম উপরের দিকে তাঁর নাম। কিন্তু একটা সময় 𒈔প্রোডাকশন হাউসের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হয়েছে তাঁকে। কোনও ছবিতে একটা বা কোনওটায় আধখানা রোল মিলত, ছবিতে শুধুমাত্র ‘এক্সট্রা’ হয়েই থাকছেন তিনি। তবে যুগ পালটে, ভাগ্য পালটেছে পঙ্কজ ত্রিপাঠির। ‘সেক্রেড গেমস’-এর কালিন ভাইয়াকে মনের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে হিন্দি সিনেপ্রেমীরা। এখন তাঁর ঝুলিতে একের পর এক ছবি, সিরিজ।
বিহারের গোপালগঞ্জে একেবারে নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারের ছেলে পঙ্কজ, সম্মান দেরিতে এলেও বলিউড তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি। শুক্রবার মুক্🎀তি পেয়েছে পঙ্কজ ত্রিপাঠি𒁃 অভিনীত ‘ওহমাইগড ২’। এই ছবি নিয়ে চারিদিকে সমালোচনার ঝড়। তবে মুক্তির পর সমালোচক থেকে শুরু করে দর্শকদের বাহবা কুড়োচ্ছে এই ছবি। অক্ষয়-পঙ্কজদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। এর মাঝেই নিজের অতীতের স্মৃতি ফিরে দেখলেন পর্দার কালিন ভাইয়া।
কৃষক পরিবারের ছেলে হয় জন্মানোর সুবাদে ধৈর্য রাখার সহজাত ক্ষমতা রয়েছে পঙ্কজের, নিজের মুখেই জানিয়েছেন সে কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান- ২০ বছর ধরে একটাই মোবাইল ফ💞োন ব্যবহার করছেন তিনি। সদ্যই এক নামী মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হিসাবে দেখা মিলছে পঙ্কজের। কিন্তু নিজে সেইসব ফোন ছুঁয়েও দেখেন না অভিনেতা।
পুরোনো ফোনের ফিচারও সব পুরোনো দিনের। যুগের সঙ্গে তা𓄧ল মিলিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না পঙ্কজ। ভরসা সেই ফোন কল বা টেক্সট ম্যাসেজ। জীবনের প্রথম সবকিছু পঙ্কজ ত্রিপাঠির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান অভিনেতা। তাঁর প্রথম গাড়ি ছিল i10, সেই গাড়ি💛ও যত্নে রেখে দিয়েছেন তিনি। সযত্নে তোলা রয়েছে নিজের জমানো টাকায় কেনা মটর বাইকটিও।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, ‘আমার অর্জন নিয়ে বাবা খুব বেশি গর্বিত নয়ꦺ। আমার বাবা এও জানে না, আমি সিনেমায় ঠিক কী করি। আজ পর্যন্ত সে জানে না সিনেমাহল ভিতর থেকে কেমন দেখতে। কেউ যদি তাঁকে কম্পিউটারে বা টেলিভিশনে আমার কাজ দেখায়, তবেই তিনি দেখেন। ’
২০০৮ সালে তিনি মুম্বই এসেছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নভুলে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ꦛন নিয়ে হাজির মায়ানগরীতে। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার প্রাক্তনের প্রথম ছবি ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’ মুক্তি পায় ২০১২ সালে, এই ছবিই পঙ্কজের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। অনুরাগ কশ্যপের সুলতান হিসাবে সকলের মনে দাগ কেটেছিলেন অভিনেতা। ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একটা পয়সাও তিনি রোজগার করেননি। সে সময়ে সংসারের সমস্ত দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অভিনেতার স্ত্রী। সুখের দিনে স্ত্রীকে আগলে র🔥েখেছেন অভিনেতা।