শনিবার ১৪ মে সন্ধ্যায় এক অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানে বাগদান হল রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডা আর অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার। শিখ রীতি মেনে দিল্লিতে হল আংটি ব🅠দল। মার্চ মাসে প্রথম তাঁরা একসঙ্গে সামনে আসেন। তারপর কয়েকমাসের জল্পনা-কল্পনা শেষে নতুন দিল্লির কাপুরথালা হাউসে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে দুজনে আংটি বিনিময় করেন।
রাঘবের বাড়িতে সাজানো হয়েছে সাদা ফুল আর 𓆉আলো দিয়ে। অতিথি তালিকায় ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং আদিত্য ঠাকরে। বাদগানের সাক্ষী থাকতে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। আর অতিথিদের খাবারের আয়োজনের সমস্ত দিক দেখভাল করেছিলেন অভিনেত্রীর দুই ভাই সহজ এবং শিবাং, যারা ফুড এন্টারপ্রেনার।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে খাদ্য তালিকায় সাজানো ডিম সাম, কেক এবং কুলফির মতো নানা পদ। পুরনো দিল্লি-স্টাইলের সুস্বাদু কাবাব সহ বহু-ক্যুজিন ছিল মেনুতে। পরিণী💝তি একজন ভোজন রসিক হিসেবে পরিচিত। তাই তাক লাগানো খাবারের তালিকা যে থাকতেই হবে।
বাগদানের দিন রাঘব আর💞 পরিণীতি দুজনেই সেজেছিলেন সাদা রঙের পোশাকে। রাঘব পড়েছিলেন আচকান, যেটি তৈরি করেছিলেন তাঁর কাকা, ফ্যাশন ডিজাইনার পবন সচদেব। আর পরিণীতির পোশাকꦫের দায়িত্ব ছিল মনীশ মালহোত্রার ওপর। যাতে ছিল মুক্তোর কাজ। চুল খোলা রেখেছিলেন ইশকজাদে অভিনেত্রী। ন্যুড মেকআপ। কপালে শুধুই একটি টিকলি। কানে ম্যাচিং মুক্তোর দুল।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে কাপুরথালা হাউসের বাইর🉐ে অপেক্ষমান পাপারাৎজিদের কাছে এসে ছবির জন্য পোজ দেন এই জুটি। হাত ধরে ক্যামেরার সামনে আসেন তাঁরা। মুখে লাজুিক হাসি। সদ্য বাগদত্তা জুটির পিছনে লাগার সুযোগ ছাড়েননি সেখানে উপস্থি♑ত পোটোগ্রাফাররা। পরীকে ‘ভাবি’ বলে, রাঘবকে ‘জিজাজি’ বলে মস্করা শুরু করে দেন। সঙ্গে একজন আবার বলে ওঠে, ‘পরিণীতি আর রাজনীতি একসঙ্গে তো!’ উপস্থিত সব চিত্রশিল্পীদের হাতে মিষ্টির বাক্সও তুলে দেয় রাঘবের পরিবার ও পরিণীতির ভাইয়েরা।
শনিবার রাতেই আংটি বদলের পর রাঘবের সঙ্গে তিনটি ছবি শেয়ার করেন নেন অভিনেত্রী। আর সঙ্গে লেখেন, ‘আমি যা কিছু চেয়েছি… আমি হ্যাঁ বলেছি।’ এর সঙ্গে আংটির একটি ইমোটিকনও তিনি পোস্ট করেছেন। আর অন্যদিকে বোন আর বোনের হবু বর আপ নেতার💯 ছবি দিয়ে লিখলেন, ‘অভিনন্দন তিশা এবং রাঘব... বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না! তোমাদের এবং পরিবারের জন্য অনেক খুশি। পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পেরেও খুব মজা পেয়েছি!’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )