মুক্তির অপেক্ষায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আয় খুকু আয়’। বাবা-মেয়ের সম্পর্কের এই গল্প নিয়ে এখন থেকেই উৎসাহ দর্শকদের মধ্যে। সিনেমায় প্রসেনজিতের সঙ্গে দেখা মিলবে দিতিপ্রিয়া রায়, মিথিলার। তবে প্রসেনজিতের হাতে রয়েছে একগুচ্ছ কাজ। খুব জলদি মুক্তি পাবে ‘ডাক্তার কাকু’ ছবিটি। পুজোয় মুক্তি পাওয়ার কথা দেব ও প্রসেনজিতের ‘কাছের মানুষ’। তবে শুধু অভিনয় নয়, এবার পরিচালনায় ঢোকার ইচ্ছেও প্রকাশ করলেন সম্প্রতি। এক বাংলা সংবাদমাধ্যমের কাছে পরিচালনায় আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করে প্রসেনজিৎ জানিয়েছেন, ‘হিন্দিতে বেশ কয়েকটা ছবিতে কাজের কথা হচ্ছে। সেগুলো করার ইচ্ছে আছে আমার। সঙ্গে বাংলা ছবি তো রয়েইছে। সঙ্গে আরও একটা ইচ্ছে আছে তা হল পরিচলনা করার। ২০২০ সালে না হলেও ২০২৩ সালের মধ্যে করব।’‘আয় খুকু আয়’ সিনেমায় দিতিপ্রিয়ার নাম ‘বুড়ি’ আর ওর বাবা ‘নির্মল’। এই নির্মল আবার প্রসেনজিতের বড় ভক্ত। স্টেজে প্রসেনজিত হয়ে লোকের মনোরঞ্জন করেন। এটাই তার পেশা। গ্রাম্য নির্মল একা হাতে মেয়েকে মানুষ করে। খুকুকে বড় করে তোলে। তবে মেয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় যখন সে বলে বাবার মতোই স্টেজে উঠে সে পারফর্ম করতে চায়। রাজি হয় না নির্মল। আর এসবের মাঝেই খুকুর সঙ্গে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। আর তখনই সাদামাটা নির্মলের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসে প্রতিবাদী বাবা। দোষীদের শাস্তি দেওয়াই যার একমাত্র লক্ষ্য।সহ-অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়ার প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘দিতিকে দিতিপ্রিয়া বলতে আমার কষ্ট হয়। এত ছোট ও। সিনেমায় বলার জন্য তো মাঝে মাঝে বুড়ি বলেও ডেকে ফেলি। আর ও আমায় বাবা বলে ডাকে।’