১৫ নভেম্বর শুক্রবার পালিত হয় বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকী। আর সেই উপলক্ষ্যেই নিজের সংসদীয় এলাকা হুগলিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পোলবা দাদপুর ব্লকের কৃষি খামার প্রাঙ্গণ, সেখানেই আয়োজিত হয়েছিল আদিবাসীদের এই অনুষ্ঠানের। সেই অনুষ্ঠানে গিয়েই সকলকে কার্তিক পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়েই রচ𒈔না বলে বসেন ‘আমার বাড়িতে কোনওদিন কার্তিক পড়েনি।’ আর তারকা সাংসদের এমন কথায় হেসে ফেলেন সেখানে উপস্থিত অনেকেই।
১৬ নভেম😼্বর, অর্থাৎ আজ শনিবার কার্তিক পূ্র্ণিমা। প্রথা অনুযায়ী, বিবাহিতাদের বাড়িতে কার্তিক ফেলার রীতি রয়েছে। বিশেষ করে সদ্য বিবাহিতাদের বাড়িতে। বিশেষত সন্তান কামনা করেই এই দেবী দুর্গাপুত্র কার্তিকের মূর্তি ফেলার রীতি রয়েছে। আর এই দেবমূর্তি ফেলা হলে পুজো করতেই হয়। পুজোর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর বাড়িতে নাকি কখনওই কেউ কার্তিক ফেলেননি। আর তা𝄹ই তাঁর বাড়িতে কার্তিক পুজোও হয়নি কখনও।
অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের রচনা বলেন, ‘এবার জগদ্ধাত্রী পুজো🌃য় আমার চন্দননগরে আসা হয়নি। তবে আগামী বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় তিনদিনই চন্দননগরেই থাকব।’ রচনা জানান, শুক্রবার তাঁর অনেকগুলি কর্মসূচি ছিল। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি নিয়ে একটি বৈঠকও ছিল। হুগলির ভদ্রেশ্বরে ছটপুজোর একটা অনুষ্ঠানেও যান তিনি। তবে একসঙ্গে অনেকগুলি কর্মসূচি থাকায় বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোয় যাওয়া হবে না বলেও আক্ষেপ করেন রচনা। এরপরই জানান, তাঁর বাড়িতে কোনওদিনও কার্তিক পড়েনি।
এখানেই শেষ নয়, এদিন হুগলিতে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গড়ার পরিকল্পনার কথা জানান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় উঠতি ট্যালেন্ট নিয়ে ভাবনা-চিন্তার কথাও জানান তিনি। তারকা সাংসদ জানান, এই মুহূর্তে নিজের সংসদীয় কাজকর্ম ছাড়াও বাড়ির কাজকর্ম, দিদি নম্বর ওয়ান-এর শ্য়ুটিংয়ের ব্যস্ততাও রয়েছেꦿ তাঁর।
এদিন রচনার সঙ্গে ছিলেন আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ, ধনিয়াখালি বিধায়ক অসীমা পাত𝓰্র। ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য থেকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, গ্ৰমীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন।