এইমুহূর্তে দেশে জনপ্রিয়তার নিরিখে ইউটিউবারদের তালিকায় প্রথম তিনি থাকবে অজয় নাগর ওরফে 'ক্যারি মিনাটি'-র নাম। এই ইউটিউবারের আপলোড করা প্রতিটি ভিডিও নিমিষে দেখে ফেলেন কয়েক দর্শক ভিউয়ার্স। পাশাপাশি ঝড়ের গতিতে শেয়ারও হয় সেসব ভিডিও। কোনও ঘটনা, বিখ্যাত ব্যক্তি কিংবা কোনও ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে মজাদার ভঙ্গিতে ক্যারিমিনাতি রসিয়ে রসিয়ে করা 'রোস্ট' বা কটাক্ষই তাঁর করা ভিডিওর মূল উপাদান। সঙ্গে থাকে বেশ কিছু অশ্রাব্য গালিগালাজ। কিন্তু সেও এমন বাচনভঙ্গিতে পেশ করেন এই ইউটিউবার যে তা দেখে রাগ করার বদলে হেসেই লুটোপুটি খায় দর্শক। সম্প্রতি, ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় ও বিতর্কিত রিয়েলিটি শো 'বিগ বস' এর ওপর একটি রোস্ট ভিডিও করেন এই ইউটিউবার। ওই শোয়ের ১৪ নম্বর সিজনের প্রতিটি প্রতিযোগীর নাম উল্লেখ করে করে তাদের বিষয়ে নানান কটাক্ষ করেন নিজের চিরাচরিত ভঙ্গিতে। বলাই বাহুল্য, সেই ভিডিও দেখে হেসে কুটোপুটি হয়েছেন বেশিরভাগ দর্শক। হু হু করে বেড়েছে ভিডিওর লাইক এবং ভিউয়ার্স। তবে সবাই কিন্তু এই ভিডিও দেখে খুশি হননি। সেই তালিকায় একেবারে প্রথমেই রয়েছেন 'বিগ বস ১৪'-র অন্যতম প্রতিযোগী রাহুল বৈদ্য। আর খুশি হবেনই বা কি করে? 'ক্যারি' যে তাঁর নামেও ভরপুর 'বদনাম' করেছেন। নিজের সেই ভিডিওয় ক্যারিকে রসিয়ে রসিয়ে বলতে শোনা গেছে যে তাঁর মতে 'বিগ বস' এর ঘরে রাহুল বৈদ্য অনেকটা স্কুলের লাস্ট বেঞ্চে বসা ছাত্রের মতো। যে শুধুই গান-টান করে কিন্তু আসল কাজ অর্থাৎ পড়াশোনায় মন দেয় না। শোয়ের মাঝপথে নিজের ইচ্ছেয় সেই শো ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া,আবার কিছুদিন পর সেই রাহুলের শো-তে ফিরে আসার ঘটনার কথা তুলে বেজায় মজা উড়িয়েছেন 'ক্যারি'. আর তাতেই গোঁসা হয়েছে রাহুলের। ট্যুইটারে নিজের মনোভাবের কথাও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন রাহুল। গোটা গোটা অক্ষরে লিখেছেন, ' কেউ কেউ বিখ্যাত হয় নিজের গুণে,আবার কেউ বিখ্যাত হয়ে অন্যকে বদনাম করে!'। ক্যারিমিনাটি-কে ট্যাগ করে রাহুল লিখেছেন, 'বড্ড মজা পেয়েছি দেখে।' তবে তাঁর এই সাদামাটাভাবে লেখা কথার মধ্যে দিয়ে যে দিব্যি টের পাওয়া যাচ্ছে রাগের আঁচ, তা মনে হয় না বললেও চলে। অন্যদিকে, এখনও রাহুলের এই মন্তব্যের পাল্টা কোনও জবাব ডননি 'ক্যারি'।