নেটমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে ফোন নম্বর। এরপর থেকে প্রায় ১০ হাজার ফোন এসেছে তাঁর কাছে। শেষপর্যন্ত বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়ে ফোন বন্ধ করলেন রাজ চক্রবর্তী। সম্প্রতি, নেটমাধ্যমে করা এক পোস্টে তৃণমূল-বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট নেতা ও তারকা প্রার্থীদের ফোন নম্বর ফাঁস করা হয়েছে। রাজ ছাড়াও এই তালিকায় যেমন রয়েছেন মুকুল রায়, বৈশালি ডালমিয়া,শুভেন্দু অধিকারী,রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা তেমনই রয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক,সায়নী ঘোষ, যশ দাশগুপ্ত,বনি সেনগুপ্ত, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়,শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়,বাবুল সুপ্রিয়,পার্নো মিত্রদের মতো বিভিন্ন তারকা প্রার্থীদের নম্বরও। ওই পোস্টে বলা হয়েছে যাঁরা বলেছিলেন যে তাঁরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চান,অনুযোগ জানিয়েছিলেন যে তা চেয়েও পাচ্ছেন না এবার মানুষ তাঁদের সরাসরি ফোন করুক। জানাক নিজেদের সমস্যা। এরপরেই রাজের কাছে ১০ হাজার ফোন এসেছে নানা প্রান্ত থেকে।এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থীর দাবি যে সিপিএম-এর কোনও সদস্যের তরফেই করা হয়েছে এই কাজ। একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে এমনটাই তিনি জানতে পেরেছেন বলে জানালেন রাজ। তাঁর কথায়,'বরাবরই সিপিএম-কে একটি রুচিশীল দল হিসেবেই জেনে এসেছি। খুব আশ্চর্য হয়েছি তাঁদের এরকম কাজ করতে দেখে। শুধু তাই নয়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক সিপিএম সমর্থকও এই ঘটনাকে আবার সমর্থনও জানিয়েছেন।'আসলে এক জনৈক নেট নাগরিক এই ফোন নম্বরের তালিকাটি প্রথমে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেন। এরপর সেই পোস্টটি শেয়ার করেন পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য। সঙ্গে লেখেন, নিজেদের সমস্যার কথা সরাসরি ফোন করে এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কাছে খুলে বলতে। এঁরা হয়তো সুযোগ পেলে কাজ করবেন এবং সত্যিই মানুষের কাজে আসতে পারেন।কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সেই আর্তিতে কতটা সাড়া দিলেন সেকথাও নেটমাধ্যমে শেয়ার করে জানাতে বলেছিলেন ইন্দ্রাশিস। তবে বক্তব্যের শেষ তিনি লিখেছিলেন এইমুহূর্তে যেহেতু বাবুল সুপ্রিয় ও পার্নো মিত্র করোনায় আক্রান্ত,তাই তাঁদের যেন 'ছাড়' দেওয়া হয়।