কমেডিয়ান রাজীব ঠাকুর, যিনি দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোয়ের অংশ, সিদ্ধার্থ কান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বললেন কপিল শর্মাকে নিয়ে। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, খ্যাতির বিড়ম্বনায় বদলে গিয়েছেন কপিল। অহংকারী হয়ে পড়েছেন। এসব নিয়েই কথা বলতে শোনা গেল রাজীব ঠাকুরকে।
কপিলের ‘অহংকারী’ হয়ে ওঠা নিয়ে রাজীব
রাজীব ঠাকুরকে এই সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি কখনো কপিলের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েছেন কি না, তখন সরাসরি নাকচ করে দেন এই কমেডিয়ান। বরং, যেভাবে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন কপিল, সেটার প্রশংসাই করলেন।
তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘ওকে অনেক চাপে থাকতে হয়। হয়তো মানুষ তা বুঝতে পারেন না। কে দু থেকে আড়াই ঘণ্টার স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করবে বলুন তো রোজ! তিনি কি কখনো ফাঁকি দিয়েছেন কাজে? একবারও না। ওর প্রত্যেকটা কথাতেই পাঞ্চ থাকে। পারফর্ম করার পাশাপাশি, তাঁকে অতিথিদের স্বাগত জানাতে হয়, তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করাতে হয়, এমনকী শো-র ক্রিয়েটিভ টিমের সঙ্গেও নিয়মিত বসতে হয়। প্রত্যেকটা এন্ট্রিতে ও পাঞ্চ দেয়, ফলত যে স্টেজে আসছে, সে নিজের মতো করে এরপর পারফর্ম করার সুযোগ পায়। এখানে অহংকারের লেশ মাত্র নেই।’
‘আমি যদি কখনো তাঁর মতো বিখ্যাত হয়ে যাই, আমারও মাথা খারাপ হয়ে যেতে পারে! ওর ৫ শতাংশ জনপ্রিয়তাও আমার নেই, সেই আমিই কখনো কখনো বিরক্ত হয়ে পড়ি অনুরাগীদের সেলফি, অটোগ্রাফের আবদারে। আপনি কখনো দেখবেন না কপিলকে। ওর মুখে সবসময় হাসি থাকে।’, আরও বলেন রাজীব ঠাকুর।
ওঠে সুনীলের সঙ্গে ঝামেলার প্রসঙ্গও। তাতেও কপিলেরই পক্ষ নিতে দেখা যায় রাজীব ঠাকুরকে। তিনি বলেন, ‘কার ঝগড়া হয় না বলুন তো? আমার তো মনে হয় না, এটা নিয়ে ওদের মনে আর কিছু আছে। যদি ওদের ঝামেলা অত সিরিয়াস হত, তাহলে কি বর্তমান এভাবে কাজ করতে পারত একসঙ্গে। হ্যাঁ আপনি বলতে পারেন, টাকা ওদের একসঙ্গে থাকতে বাধ্য করছে। আমি বলব সেটে এলে বুঝতে পারবেন আপনি, ওরা একে-অপরের সঙ্গ কতটা উপভোগ করে।’