প্রতারণা, ধর্ম গোপন করে প্রেম, বিয়ে করে ধর্ম বদলের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ। মডেল😼ের FIR-এর ভিত্তিতে গ্রেফাতার করা হল তনভীর আখতার খানকে। অভিযুক্ত তানভীর খানকে বিহারের আররিয়া জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাঁচি পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে রাঁচিতে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, তনভীর খান একটি মডেল কোম্পানির মালিক। কাজের সুবাদেই রাঁচির মডেল মানবী রাজের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। মানবীর অভিযোগ, তনভীর তাঁকে যশ বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। কাজের সুবাদেই তাঁদের বন্ধুত্ব হয়। কিছুদিনের মধ্যে মডেল মানবী জানতে পারে ওই ব্যক্তির নাম আদপে যশ নয় তনভীর। মানবী রাজের আরও অভিযোগ, তনভীর তাঁকে বিয়ের জন্য জোর করতে থাকেন এবংಌ ধর্ম বদলের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তিনি অস্বীকার করলে তাঁর আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করার হুমকিও দেন। অভিযোগ মানবী রাঁচি থেকে মুম্বই আসার পরও তনভীর তাঁর পিছু ছাড়েননি।
গত ২৯ মে মুম্বইয়ের ভারসোভা থানায় অভিযোগ দায়েরꦜ করেন মানবী রাজ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারসোভা থানায় ৩৭৬(২) (N), ৩২৮, ৫০৬, ৫০৪, ৩২৩ এবং আইটি আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি যেহেতু রাঁচিতে ঘটেছিল, তাই এই মামলা রাঁচি পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়েছ🧸ে বলে জানায় মুম্বই পুলিশ।
অভিযোগকারী মানবী রাজ জানিয়েছেন, তিনি বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। ২০২০-র লকডাউনের পর গ্রুমিংয়ের জন্য তিনি তনভীরের মডেলিং কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, ২০২১-এর ২৯ মার্চ হোলির দিন তাঁর পানীয়তে নেশার কোনও ওষুধ মিশিয়ে দেন তনভীর। তারপরই নগ্ন ছবিও তোলা হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল যখন সকলে অফিস থেকে বাড়ি চলে গেলে তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন তনভীর। মানবী অস্বীকার করলে তাঁকে তাঁর ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। এরপর ১৫ এপ্রিলও জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হন তনভীর আখতার খান। এরপর থেকে মানবীকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। ধর্ম বদলের জন্যও জোর করতে থাকেন। তিনি একপ্রকার বাধ🐬্য হয়েই মুম্বই চলে আসেন, তবে তারপরও নাকি তনভীর পিছু ছাড়েননি।
অভিযোগ, মডেলিংয়ের জন্যই বিদেশে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন তনভীর। মানবী অস্বীকার করলে অশ্লীল ছবি তাঁর মা ও ভাইকে পাঠিয়ে দেন তনভীর। বাধ্য হয়ে মানবী বিদেশে যেতে রাজি হলে তখন তনভীর নিজেই ফের তাঁর মা, ভাইকে ফোন করে জানান ছবিগুলো ভুয়ো। এরপর বিদেশে গিয়েও তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়, ফে𒁃র ধর্ম বদলে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেন অভিযুক্ত তনভীর আখতার খান।