আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিক🦩িৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে শুক্রবার রাতভর উত্তপ্ত শহর কলকাতা। কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালেই যৌন নির্যাতনের শিকার হন ওই মহিলা চিকিৎসক, যা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে ‘আত্মহত্যা’ নয়, ইঙ্গিত মিলেছে পোস্টমর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্টে। যদিও কলকাতা পুলিশের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-বন্ধ বাড়ির সামন🅘ে পড়ে চিকিৎসকের মৃতদেহ, মা-বাবা তখনও জানেন না মেয়ে কোথায়
এই ঘটনায় এবার গর্জে উঠলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। হালে বাংলাদেশের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় হাসিনা সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি স্বস্তিকা। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতেও কখনও পিছপা হন না নায়িকা। কলকাতা থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে আপতত ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে রয়েছেন স্বস্তিকা। তবে নিজের শহরে ঘটে যাওয়া এহেন ‘পাশবিক ঘটജনা’ দেখে চুপ রইলেন না তিনি।
শনিবার সকালে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিনেত্রী লেখেন, ‘ভাষা নে⛄ই নিন্দের। এই দোষী দের অন্তত সাজা হোক। এইবার আর মেয়েটার দোষ, সে ভুল ভাবে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিল বলে তার দিকে আঙুল তুলব না। একটা হাসপাতালেও মেয়েরা নিরাপদ নয়? যাব কোথায়?’
চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ওই নির্যাতিতা তরুণী। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য। জানা গিয়েছে, দুই চোখ দিয়েই বেরোচ্ছিল রক্ত, মুখে রক্ত, যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে আঘাতের চিহ্ন, নখে আঘাতের ✤চিহ্ন, পায়ে আঘাতের চিহ্ন, পেটে আঘাতের চিহ্ন, হাতে আঘাতের চিহ্ন, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন, ভেঙেছে🦩 হাড়। একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যে সব বিষয় উঠে এসেছে, তাতে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, 'এটা নিশ্চিতভাবে আত্মহত্যা নয়। প্রথমে তরুণীর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। তারপর হত্যা করা হয়েছে তাঁকে।'
কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পর বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ প্রথম꧂বর্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে ডিনার করেন ওই তরুণী। এরপর সেমিনার রুমে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই ট্রেনি চিকিৎসক। সেখান থেকেই পরদিন সকালে তাঁর অর্ধনগ্ন, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।
‘আমার চোখের জল অনেক বছর ঝরিয়েছেন…বলতে পার🐼ছি না চিরশান্তিতে থাকুন’, বুদ্ধদেবকে নিয়ে বিস্ফোরক তসলিমা
তরুণীর গলার হাড় ভেঙে যাওয়ায় অনুমান করা হচ্ছে যে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। কার্পেট🐟ের উপর থেকে একাধিক চুল 🌸পাওয়া গিয়েছে। নীল রঙের কার্পেটে মিলেছে ছোপ রক্তের দাগ। এই বীভৎস, নারকীয় ঘটনায় নিন্দায় সরবমহল।