মাতৃহারা হলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বহুদিন ধরেই কিডনির ꦇসমস্যাতে ভুগছিলেন অভিনেত্রীর মা নন্দিতাদেবী। গত ১ মাস ধরে ভর্তিও ছিলেন হাসপাতালে। তবে🌼 শেষরক্ষা হল না। শনিবারই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
আর পাঁচটা সন্তানের মতোই, মায়ের মৃত্যুতে কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই পুজো থেকেই তিনি কলকাতাতে রয়েছেন। প্রায় রোজ হাসপাতালেও ছুটছেন। হয়তো মনে আশা ছিল, মাকে নিয়ে পারবেন বাড়িতে ফিরতে। তবে সে আশা থেকꦺে গেল অপূর্ণই। এদিন ঋতুপর্ণার মায়ের প্রয়াত হওয়ার খবর পেয়েই, সেই বেসরকারি হাসপাতালের সামনে হাজির হয়েছিল সংবাদমাধ্যম। দেখা গেল কান্নায় চোখমুখ বসে গিয়েছে। ‘মা চলে গেলে কি আর কিছু বলা যায়? তোমরাও সবাই ছিলে। জানো এক মাস ধরে মা যুদ্ধ করছিল।’, বললেন তিনি।&nb🎐sp;
আরও পড়ুন: মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি! কার চুমুতে হাসি মুখ রাহার🐭, সে আবার আলিয়ার বিশেষ প্রিয়
বেলেভিউতে চিকিৎসক অনির্বাণ নিয়োগীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল। গত ১৫ দিন ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছিল 🐭নন্দিতাদেবীকে। কিডনির সমস্যা ছাড়াও বার্ধক্যজনিত আরও নানান শারীরিক সমস্যা দেখা গিয়েছিল। চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ঋতুপর্ণা চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছে। তার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আত্মীয় পরিজনরা নিয়মিত খোঁজ নিজেন। তোমরা (সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা) খোঁজ নিতে।’
আরও পড়ুন: আনপ্ল্যানড চাইল্ড অনন্যা! ২৬ বছর পর ফাঁস💜 করলেন ভাবনা পাণ্ডে, চাঙ্কিকে বিয়ে করায় মত ছিল না বাব🐈ার
এরপর মায়ের প্রসঙ্গে বললেন, ‘আশা করি মা যেখানেই আছে শান্তিতে থাকবে। মা-বাবার তো কোনও বিকল্প হয় না! এখনও মা আমাক🐷ে শাসন করত, বকাবকি করত। বকা দিয়ে মায়ের ফোনটা আর আসবে না। যাদের মা নেই, তারা আমার যন্ত্রণাটা বুঝবে। শুধু বলব, যাদের মা আছে, তারা আগলে রেখো।’
আরও পড়ুন: একটুর জন্য জেতেননি সারেগামাপা! ইন্ডিয়ান ꧑আইডলে হিট ময়ূরী, ইনস্টায় তাঁকে ফলো করে এই অস্কার-জয়ী
শনিবার ঋতুপর্ণা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন, ‘আমার মা নন্দিতা সেনগুপ্ত আজ দুপুরে চলে গেলেন। আমাদের পরিবারের বন্ধু, আত্মীয়দের অনুরোধ করছি যে তারা সবাই যেন রাত ৮টা নাগাদ ৫বি, রবিনসন স্ট্রিট, কাঞ্চনজঙ্ঘা আবাসনে চলে আসেন। আপ🍎নাদের একটাই অনুরোধ যে এই সময় আপনাদের সহমর্মিতা ও সহযোগিতাই আমার একমাত্র কাম্য।’
গত বছরও কিডনির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নন্দিতা দেবী। তিনি রেখে গেলেন তাঁর মেয়ে ঋতুপর্ণা, জামাই সঞ্জয় চক্রবর❀্তী-সহ দুই নাতি-নাতনি অঙ্কন ও ঋষণাকে। রয়েছে তাঁর পুত্র প্রদীপ সেনগুপ্ত, বৌমা রোসেলি এবং নাতনি শ্রেষ্ঠাও।