শুক্রবার কেকে-বিতর্কে প্রেস ক্লাবে ক্ষমা চেয়েছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচি। ঠিক তার ২৪ ঘণ্ঠা কাটার আগেই ফেসবুকে নিজের লেখা একটি কবিতা পোস্ট করলেন রূপঙ্কর-পত্নী চৈতালী লাহিড়ি। সেই কবিতার প্রতিটা ছত্রে উঠে এল কেকে মারা যাওয়ার পর কীভাবে তাঁর পরিবারের দিকে নেমে এসেছে ট্রোলিং🎃, কুৎসা, সমালোচনা। যদিও ‘স্বামীর পক্ষ নিয়ে কথা বলায়’ তাঁকেও ছেড়ে কথা বলল না সোশ্যাল মিডিয়া।
চৈতালী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘স্যোশাল 𒊎মিডিয়া তোমার দেওয়া আ্যড্রনালিন রাশ/ ছো🍨ট্ট পরিবারের জীবনে নামিয়ে এনেছে ত্রাস/ দরকার একটা স্মার্টফোন আর মনে একরাশ ঘৃণা/ জীবনের যত না পাওয়ার যন্ত্রণা আর কিছু বাহানা।’
কেকে-র মৃত্যুর পর স্বামীর সঙ্গে থানায় গিয়েছিলেন চৈতালী। অভিযোগ জানিয়েছিলেন কীভাবে তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে। সেই কথা উল্লেখও করলেন নিজের কবিতায়। লিখলেন, ‘এমন একটা বেপরোয়া ঝড়ের মুখে পড়ে/ অসহায় সে পরিবারের টীন এ🦩জ মায়ের মনে/ ধরফরিয়ে বুকটা / পোড়ে, বরটা বড়ই বোকা/ দুনিয়াদারিতে নেহাৎ কাঁচা শিল্প যাপনে মগ্ন থাকা/ এমন ♏কথা কি বলতে হয়, তুমি কি সমাজের হোতা/ কে দিয়েছে মাথার দিব্যি? কেন নড়ল মাথার পোকা?’
প্রসঙ্গত, কেকের সমালোচনা করায়, ‘বাঙালি-অবাঙালি’ কথা টেনে এই বিতর্কে অনেক বাঙালি শিল্পীকেই পাশে পাননি রূপঙ্কর। এদিকে তাঁর করা ‘কে কেকে’ ভিডিয়োয় এদের নামেই সুখ্যাতি করেছিলেন! সেই তারকাদের সমালোচনাও🍷 উঠে এল চৈতালীর কবিতায়-- ‘নিজেকে নিয়ে বাঁচো, নি🐟জের আখের গোছাও ওগো/ মেয়েটার ভবিষ্যৎ আছে, আমার কথাটাও ভাবো/ ভালোই হল চিনতে পেল বন্ধু এবং বাসা/ সময় চেনায় কোনটা সত্যি আর কোনটা মরিচীকা।’
চৈতালী নিজের লেখাতেই💝 তুলে ধরলেন কীভাবে তাঁদের মেয়ে মেহুলের মনেও দাগ কেটে গিয়েছে এই ঘটনা। বাবাকে জড়িয়ে এত বড় বিতর্কে হয়রান সে নিজেও। ‘ছোট্ট মেয়ে থই পায় না বাবার বিশেষণে/ ভাবছে য𒁏তই চোখের পাতা ভিজছে অভিমানে/ অবুঝ তাকে কী যে বলি-----/ ওরে ভাবিস না রে/ ওসব হল রাগের কথা/ ধরতে হয়না ওমন করে।’ লিখলেন রূপঙ্কর পত্নী।
চৈতালীর পোস্টের কমেন্ট সেকশন সীমিত। শুধুমাত্র ফেসবুকের বন্ধু যারা তাঁরাই কমেন্ট করতে পারবেন। সেই সিমীত পরিসর থেকেও উঠে এল সমালোচনা। কেউ লিখলেন, স্বামীর ভুলটা যেন তিনি ধরিয়ে দেন। এভাবে ‘স🧜াপোর্ট না করে’। তো কারও মতে, ‘ঔদ্ধত্যই কাল হয়েছে রূপঙ্করের’।