অভিনেত্রী পল্লবী🌜 দেꦜ-র রহস্যমৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা-মা। সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুন, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এফআইআরে নাম রয়েছে পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়েরও।
পল্লবীর বাবা অভিযোগ করেছেন, সাগ্নিক বিবাহিত ছিল তা অনেক পরে জানতে পারে পল্লবী, এমনকি পল্লবীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে সাগ্নিক। শুরু থেকে🍸ই এই বিতর্কে বারবার উঠে এসেছে সাগ্নিকের প্রাক্তন স্ত্রী সুকন্যা মান্নার নাম। এবার এই বিতর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললে🍨ন সুকন্যা।
তিনি স্পষ্ট জানান, গত দু-বছর ধরে পল্লবী বা সাগ্নিকের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ নেই তাঁর। সুকন্য়ার মন্তব্যে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সুকন্যা ও সাগ্নিকের বিয়ের 📖ব্যাপারে শুরু থেকে সবটা জানত পল্লবী। সুকন্যা বলেন, ‘পল্লবী আমার বন্ধু ছিল, সাগ্নিক ওকে চিনতই না। আমার মাধ্যমেই ওদের পরিচয় হয়। আমার পিছনে ও সাগ্নিকের সঙ্গে মেলামেশা করত আর আমা💧র কাছে তা অস্বীকার করত।’ বান্ধবীর সঙ্গে স্বামীর ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পেরে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন সুকন্যা।
পল্লবীর টাকা আত্মসাৎ করতে তাঁকে খুন করেছে সাগ্নিক, এমন দাবি মৃতার পরিবারের। তবে প্রাক্তন স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে সুকন্যা বলেন, ‘সাগ্নিককে আমি ৭ বছর চিনি, ও কাউকে খুন করতে পারে না। হয়তো এখন আমার সঙ্গে ওর যোগাযোগ নেই। কিন্তু আমি সাগ্নিককে ছোট থেকে চিনি। পল্লবী যে খুব ভালো মেয়ে এমনটা নয়। কারোর সঙ্গে রেজিস্ট্রি হয়েছে জেনেও যে মেয়ে ꦉরিলেশনে আসতে পারে ও তার বাড়ির লোক সেকথা মেনে নেয়, তাকে ভালো বলা যায় না। ওর পরিবার সব জানত। ওর মাকে ফোন করে বলেছিলাম আমার আর সাগ্নিকের বিয়ের কথা। উনি বলেছিলেন, মেয়ে যা করবে সেটায় আমি কিছু বল🐬তে পারবে না’।
প্রাক্তন স্ত্রী অচিরেই জানানো, সাগ্নিকের বাড়ির অবস্থাꦜ ভালো, আগেও সে দামী গাড়ি নিয়েই ঘুরত। সেই টাকা সাগ্নিকের বাবার দেওয়া, সাগ্নিককে ৫৭ লক্ষ টাকা দিয়েছে পল্লবী, এমন দাবি প্রসঙ্গে সুকন্যা জানান, 'পল্লবীর বাবার স্টেশনের পাশে ঝালমুড়ির দোকান,ওর মা-ভাই কিছু করে না, ওর অতিমারিতে দুবছর কাজ ছিল না, কোথা থেকে দিল ৫৭ লক্ষ টাকা? সাগ্নিকের পয়সাতেই চলত পল্লবীর পরিবার। মানছি হয়তো কোনও সমস্যা ছিল দুজনের কিন্তু আর্🐼থিক সমস্যা নয়।'