বলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপল করিনা কাপুর খান এবং সইফ আলি খান। তাঁদের বিবাহিত জীবন কাটিয়ে ফেলেছে প্রায় আট বছরের ওপর সময়। পাশাপাশি বর্তমানে দু'টি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। প্রায় পাঁচ বছরের প্রেমপর্ব চলার পর ২০১২ সালের অক্টোবরে সাত পাকে বাঁধা পড়েন এই জুটি। এরপর ২০১৬ সালে নিজেদের প্রথম সন্তান তৈমুরকে পরিবারে স্বাগত জানান তাঁরা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খান পরিবারে বেড়েছে সদস্য সংখ্যা।ফের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন 'বেবো'।Kareena Kapoor প্রসঙ্গত,বড়পর্দাতেও 'টশান','ওমকারা','এজেন্ট বিনোদ','কুরবান' প্রভৃতি ছবিতে একসঙ্গে দেখা গেছে এই জুটিকে। ২০০৭ সালে 'টশান' ছবি শ্যুটিংয়ের সময় পরস্পরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। শুরু হয়েছিল তাঁদের সম্পর্ক। তবে তাঁদের প্রেমপর্ব চলাকালীনই করিনার সঙ্গে 'লিভ ইন'সম্পর্কে যেতে চেয়েছিলেন সইফ। তবে করিনা তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন এ ব্যাপারে তাঁর মা অর্থাৎ ববিতার কাছে অনুমতি নিতে হবে সইফের। করিনা জানান,সইফ তাঁকে বলেছিলেন যে তিনি এখন আর বছর পঁচিশের যুবক নয় যে রোজ করিনাকে রাতে গাড়ি করে বাড়িতে ছাড়তে আসবেন। তাই একদিন কোনও ভণিতা না করে অভিনেত্রীর মায়ের কাছে গিয়ে সইফ পরিশীলিতভাবে জানান তাঁদের সম্পর্কের কথা। পাশাপাশি সহজ অথচ দৃপ্ত ভঙ্গিতে করিনার সঙ্গে একসঙ্গে থাকার অনুমতিও চান তিনি। সইফ বলেছিলেন,' আমরা বাকি জীবনটা একসঙ্গে কাটাতে চাই।' করিনার কথায়,' মা সব শুনে কোনও দ্বিরুক্তি করেননি। দিব্যি রাজি হয়ে গেছিলেন সইফের কথা শুনে।' শুধু তাই নয়,এরপর যখন সইফ করিনাকে বিয়ে করার প্রস্তাব নিয়ে গেছিলেন তখনও নিমরাজি হননি ববিতা কাপুর। এ প্রসঙ্গে করিনা আরও জানিয়েছেন কীভাবে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে 'ব্যাড প্যাচ' চলাকালীন তাঁকে ভরসা জুগিয়েছিলেন সইফ। এ প্রসঙ্গে 'বেবো'-র মন্তব্য,' আমি মনে হয় পড়ে যাচ্ছিলাম আর সইফ তখনই আমাকে শুধুই পড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায়নি,বরং সামলেওছিল। অনেকের মনে হতে পারে সৈফে আমার থেকে বয়সের বিস্তর ফারাকের কথা কিংবা তাঁর প্রথম পক্ষের দুই সন্তানের কথা। কিন্তু আমার সেসব কিছুই মনে হয়নি। আমার কাছে সে এমন একজন মানুষ যে আমাকে আমার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল,যে আমাকে বুঝিয়েছিল,শিখিয়েছিল নিজেকে ভালোবাসতে।'