মার্ভেলের সিনেমাটিক ইউনিভার্সে প্রবেশ করতে চলেছেন সইফ আলি খান। অডিবেলের নতুন হিন্দি পডকাস্ট সিরিজ মার্ভেলের ওয়েস্টল্যান্ডার্স: স্টার লর্ডে তাঁর গলা শোনা যাচ্ছে। স্টার লর্ডের চরিত্রেই তিনি গলা দিচ্ছেন এই পডকাস্ট শোতে।এই পডকাস্ট শোতে কেবল সইফ নয়, তাঁর ঘরণী, করিনা কাপুর খান সহ মাসাবা গুপ্ত, প্রজক্তা কোলি, জয়দীপ আহ্লাওয়াট, প্রমুখের কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। এই সিরিজ থেকে জানা যাচ্ছে যে ভিলেনদের জয় হয়েছে, এবং মার্ভেল হিরোদের সঙ্গে আছে কেবলই খারাপ স্মৃতি।সুপারহিরোতে এন্ট্রি নেওয়ার পাশাপাশি বলিউডের এই অন্যতম সেরা নায়ক সইফ আলি খানের কর্মজীবনের ৩০ বছর পূর্ণ হচ্ছে ২০২৩ সালে। ফলে এই বছরটা যে তাঁর জীবনে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মুম্বইয়ের ফিল্ম স্টুডিওতে তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিলেন। জানালেন তাঁর কেরিয়ারের বিষয় থেকে বলিউডের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে।মার্ভেলের সুপারহিরোর পডকাস্ট শোতে কণ্ঠ দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কেমন লেগেছিল অভিনেতার? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, 'আমার কাছে এই অফারটি ভীষণই বিশেষ ছিল। আমি অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন প্রশ্ন করি কত দেবে, কত বড় কাজ, কী কাজ সেগুলোই জিজ্ঞেস করেছিলাম। আর মার্ভেলের কাজ যখন ওরা ভালোই টাকাকড়ি দিয়েছে। আর কাজও যথেষ্ট পরিমাণে ছিল। প্রায় এক সপ্তাহ লেগেছিল এই কাজ করতে। আমরা এক এক দিনে দুটি করে পর্ব রেকর্ড করতাম। কনটেন্ট ভীষণই ভালো ছিল। এত ভালো করে গোটা বিষয়টা লেখা ছিল যে অডিও এফেক্টের সঙ্গে গোটা গল্পটা দারুণ ভাবে এগিয়ে গিয়েছে।' অনস্ক্রিনের থেকে এই কাজটা কতটা আলাদা ছিল? অডিও প্রজেক্টে নিজের এই চরিত্র তাঁর কেমন ছিল? এই বিষয়ে সইফ জানান, ' আমার ভীষণ সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছিলেন মন্ত্রা, ওঁর এই অডিও দুনিয়ার বিষয়ে দারুণ জ্ঞান, অভিজ্ঞতা। একটা ছবিতে আপনার কাছে অনেক কিছু থাকে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য, বা কিছু বোঝানোর জন্য আপনি নানা জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অডিও স্টোরির ক্ষেত্রে আপনার এক এবং একমাত্র সম্বল হল আপনার কণ্ঠ।'দেখতে দেখতে বলিউডে ৩০ বছর পার করে ফেললেন অভিনেতা, সফরটা কেমন ছিল? বা এখনও কি এমন কোনও ধরনের চরিত্র আছে যা আপনি করত চান কিন্তু এখনও হয়ে ওঠেনি? এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'না, সব কিছুই তো বদলায়। কে ভেবেছিল যে আমি স্যাক্রেড গেমস করব? কিংবা আদিপুরুষ, যা কিনা এফেক্ট, বা স্কেলের দিক দিয়ে দেখতে গেলে মার্ভেলের মতোই, সেটার অনুপ্রেরণায় তৈরি। ফলে সবটাই সমানে বদলাচ্ছে। আর আমরা সবাই গর্বিত যে আমরা সকলেই এমন একটা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এখন যুক্ত যেটা এখনও বেড়ে চলেছে। আমার কোনদিন তেমন কোনও বাকেট লিস্ট ছিল না যে এর সঙ্গে কাজ করতে চাই, বা ওর সঙ্গে কাজ করব। আমি নিজেকে নিয়ে কেবল গর্ববোধ করি যে মানুষ এখনও আমার সঙ্গে কাজ করতে চান। আমি এখন রেড চিলিজ প্রোডাকশনের একটি কাজ করছি। ছবিটির পরিচালনা করছেন একজন অল্পবয়সী পরিচালক পুলকিত। আর এই ছবির জন্য আমিই ওর প্রথম পছন্দ ছিলাম। এটা খুবই আনন্দের কথা।' এখন অনেকেই বলে থাকেন যে হিন্দি ছবির তুলনায় নাকি দক্ষিণী ছবি ভালো চলছে। হিন্দি ছবির সঙ্গে নাকি দর্শকরা নিজেদের মেলাতে পারছেন না। এই বিষয়ে তাঁর কী মত? 'এটা নিয়ে আমি কখনই চিন্তিত ছিলাম না। আসলে হতে পারে আমি কখনও আমার কাজ নিয়ে সেভাবে ভয় পাইনি, তাই। হয়তো এই গোটা বিষয়টার সঙ্গে আমার জীবনের যোগ আছে তবে অন্যান্য সময় যা করি, এখনও তাই করেছিলাম আমি আমার পরিবারের দিকে নজর দিয়েছিলাম। তবে যাই হোক আমাদের সামনে এখন উন্নতি করার, বাড়ার অনেক সুযোগ আছে। তবে হ্যাঁ, আমিও এটা বিশ্বাস করি যে আমরা আরও ভালো ছবি বানাতে পারি। মানুষ যে ধরনের ছবি দেখতে পছন্দ করেন আমরা সে ধরনের ছবি বানাচ্ছি না। কিন্তু আমরা সঠিক পথে আছি বলেই বিশ্বাস করি। আমি নিজেই কখনও ভাবিনি আদিপুরুষ বা এই ধরনের ছবিতে কাজ করব। এখন ওয়েব মাধ্যমে বহু গুণী পরিচালক আছেন, দারুণ দারুণ কাজ হচ্ছে ওয়েব দুনিয়ায়। বক্স অফিসের দিকেও সমান ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে।'