হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট💧্রিতে কাপুর পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। এক কথায় বলিউড অচল তাঁদের ছাড়া। পৃথ্ব💧ীরাজ কাপুরের উত্তরাধিকারীরা সমৃদ্ধ করেছে হিন্দি তথা ভারতীয় সিনেমাকে। কিন্তু কাপুর পরিবারের বিদ্যের দৌড় অবাক করে সকলকে। কাপুর খানদানের কেউ ক্লাস সিক্স পাশ, কেউ ক্লাস টেন! কলেজের মুখই দেখেননি অধিকাংশ, তালিকায় রয়েছেন রণবীর কাপুরও। করিনা-করিশ্মা কলেজে ভর্তি হলেও পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাননি।
অবশেষে ২০২৩ সালে প্রথম গ্র্যাজুয়েট সদস্য পেল কাপুর পরিবার। কাপুর খানদা🍸নের প্রথম সন্তান হিসাবে স্নাতক ডিগ্রি লাভের বিরল কীর্তি গড়লে শাম্মি কাপুর ও গীতা বালির সন্তান আদিত্য রাজ কাপুর। বছর খানেক আগেই ফের পড়াশোনা চালু করেছিলেন শাম্মি-পুত্র। অবশেষ গ্র্যাজুয়েশন পাশ করলেন তিনি। সম্প্রতি রণবীরকে এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা গিয়েছিল, তাঁর পরিবারের কোনও সদ্যই ক্লাস টুইয়েলভের পরের ধাপে যায়নি।
বছর কয়েক আগেই গোয়া থেকে মুম্বইয়ে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন আদিত্য। ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশন্যাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (IGꦡNOU) থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেছেন আদিত্য রাজ কাপুর। টাইমফ অফ ইন্ডিয়াকে প্রাক্তন অভিনেতা জানান, ‘আমার কাছে পড়াশোনা করবা🎃র সবরকম সুযোগ ছিল, কিন্তু আমি তার সদ্বব্যবহার করিনি। বহু বছর পর নিজের ভুল বুঝতে পারি। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। যখন আমি অন্তরের শূন্যতা অনুভব করলাম, তখনই বুঝলাম শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। তাই দর্শন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি’।
আদিত্য জানান, ৬১ বছর বয়সে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর এই কীর্তির পিছনে বড় অবদান মেয়ে তুলসীর। মেয়েই তাঁকে অনুপ𝄹্রাণিত করেছিলেন ফের কলেজে🌱 অ্যাডমিশন নেওয়ার জন্য। কোডিভ-এর জেরে মাঝের কয়েকটা বছর পরীক্ষা দিতে পারেননি কাপুর পরিবারের এই বর্ষীয়ান সদস্য। তবে হাল ছাড়েননি তিনি। দু-সপ্তাহ আগে দর্শনে ৫৯% নম্বর পেয়ে স্নাতক হয়েছেন আদিত্য রাজ কাপুর। এই ডিগ্রি প্রয়াত মা, গীতা বালিকে উৎসর্গ করে তিনি। এখানেই থামতে চান না প্রয়াত ঋষি কাপুরের খুড়তুতো দাদা। ইতিমধ্যেই মাস্টার্স ডিগ্রি লাভের তোড়জোর শুরু করেছেন তিনি, ভর্তি হয়েছেন এমএ-র কোর্সে।
সত্তরের দশকে 🌄সহকারী পরিচালক হিসাবে বলিউডে পদাপর্ণ করেন শাম্মি পুত্র। জেঠু রাজ কাপুরের ‘ববি’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’-এর মতো ছবিতে সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন। দীর্ঘ বিরতির পর ২০০৭ সালে ‘ডোন্ট স্টপ ড্রিমিং’ বলে একটি ছবি পরিচালনা করেন আদিত্য রাজ কাপুর, যা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বরাবরই স্বচ্ছন্দ তিনি। ২০১০ সালে ৫৪ বছর বয়সে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন ‘চেস’ ছবির সঙ্গে, পরবর্তীতে ‘ইয়ামলা পাগলা ২’-সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০১৫ সালে এভারেস্ট টিভি সিরিজে শেষবার পর্দায় দেখা মিলেছিল তাঁর।