দীর্ঘদিন পর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং সুমন ঘোষের হাত ধরে ঘরে ফিরছেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। ১৪ বছর পর আবারও তাঁকে দেখা যাবে বাংলা ছবিতে। ছবির নাম 'পুরাতন'। শুক্রবারই ঘোষণা হয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের 'ভাবনা আজ ও কাল'-এর প্রযোজনায় তৈরি হতে চলা এই ছবির। আর সেকারণেই কলকাতায় এসেছিলেন সত্যজিৎ রায়ের 'অপর্ণা'। তাঁর চোখে এখন কলকাতা কতটা বদলেছে? এখানে এসে শর্ম♏িলাকে মুখোমুখি হতে হয় এমন প্রশ্নের।
এমন প্রশ্নের কী উত্তর দিয়েছেন শর্মিলা?
শর্মিলা ঠাকুর এমন প্রশ্নে আনন্দবাজারকে বলেন, ‘কলকাতা এখনও একই আছে। আগের দিন গাড়িতে আসার সময় দেখলাম আধুনিক কিছু বাড়ি হয়েছে। তবে বাকিটা একই আছে। রাস্তার গর্তগুলোও একই রকম আছে।’ শর্মিলা জানান, এখনও তাঁর কলকাতার স্ট্রিট ফুড খাবার ইচ্ছে জাগে। তবে এখন আর চাইলেই রাস্তার ধার✃ের ঘুঘনি, ফুচকা খেতে পꦐারেন না।'
সম্প্রতি 'গুলমোহর' ওয়েবসিরিজের হাত ধরে ফের অভিনয়ে ফিরেছেন শর্মিলা। বর্তমানের কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘আমাদের সময় সেটে এসে কী করব বুঝে উঠতে পারতাম না, এখন নিয়ম মাফিক কাজ হয়। সকলেই চিত্রনাট্য পড়ে তবেই আসেন। সিঙ্ক সাউন্ডের দৌলতে ডাবিংয়ের সমস্যাও মিটেছে। নতুন প্রজন্মের জ্ঞান, শেখার চেষ্টা তাঁকে আনন্দ দেয় বলেই জানান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।’ তবে এখনকার একটা বিষয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁর। এখন যে 🌌কোনও ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতার কাছে ইংরাজি হরফে চিত্রনাট্য আসে সেপ্রসঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর জানান, ‘এতে আমার আপত্তি আছে, হিন্দি, বাংলা, ইংরাজি, যে ভাষার চিত্রনাট্য সেই ভাষাতেই তিনি সেটা পড়তে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন।’
আরও পড়ুন-১৪ বছর 🌼পর ঋতুপর্ণার হাত ধরে ফের বাংলা ছবিতে ফিরছেন শর্মিলা ঠাকুর
শর্মিলা ঠাকুর বলেন, পুরুষশাসিত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলেও তিনি নিজেকে কখনওই মহিলা হিসাবে দেখেননি, ইউনিটের অংশ হিসাবেই দেখেছেন। জানান, তিনি যখন হিন্দি ছবিতে অভি🔜নয় শুরু করেন, সে⛦টা তাঁর স্কুল সমর্থন করেননি, তাই তাঁকে স্কুল বদলাতে হয়েছিল। তবে 'মানিকদা' তাঁর পাশে ছিলেন। অভিনেত্রী জানান, পতৌদি পরিবারে অন্দরেও তিনি বাঙালিয়ানাকে লালন করেন, আর সেটা তিনি বাঙালি পরিবারে বড় হয়েছেন বলেই সম্ভব। বলেন, ‘বাংলায় রবীন্দ্রনাথ পড়ার কোনও বিকল্প নেই।’ জানান, তাঁর স্বামী পতৌদি নবাব বাংলা জানতেন। ছেলে সইফও অল্পবিস্তর বাংলা জানেন, আর সোহাও বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন।
প্রসঙ্গত, খোদ রবি ঠাকুরের পরিবারের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছেন শর্মিলার। তিনি ঠাকুরবাড়ির গগণেন্দ্রনাথের পুত্র কণকেন্দ্রনাথের নাতনি। তবে রবীন্দ্রনাথকে তিনি চোখে দেখেননি, তাঁর জ🔯ন্মের তিন বছর আগেই তিনি মারা যান। মায়ের মুখে গল্প শুন🃏েই রবীন্দ্রনাথকে প্রথম জেনেছিলেন শর্মিলা।