'খতরো কে খিলাড়ি' শো-এর সেট থেকে শ্বেতা তিওয়ারির ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। ছোটপর্দার এই অভিনেত্রীর মেদহীন,ছিপছিপে অবতার নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। সম্প্রতি,শ্বেতা জানিয়েছেন দ্বিতীয় সন্তান জন্মানোর পর তাঁর শরীরের ওজন বেড়ে গেছিল অনেকটাই। পাশাপাশি গুরুতর বেড়েছিল কাঁধের পেশির যন্ত্রণা,ডাক্তারি পরিভাষায় যার নাম 'ফ্রোজেন শোল্ডার'। যন্ত্রণা উপশমের জন্য এরপর চিকিৎসক পরামর্শ তাঁকে দেন মাসল ট্রেনিং ও ওয়েট এক্সারসাইজের। এহেন পরিস্থিতে অভিনেত্রীর বড় মেয়ে তাঁকে পরামর্শ দেন এཧকজন ভালো ফিটনেস ট্রেনারের খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন যে শ্বেতাকে ফিট করার পাশাপাশি দুর্দান্ত শারীরিক 'ট্রান্সফর্মেশন'-এও সাহায্য করবে। সেই পরামর্শ মেনে নিয়েছিলেন শ্বেতা।
অভিনেত্রীর কথায়,' দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর আমার শরীরের ওজন বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৭৩ কেজিতে। 'হাম টুং ঔর দেম'-এ অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর শোয়ের নির্মাতারা চাইছিলেন আমি যেন একটু ওজন কমাই। সেইমতো জোরদার শরীরচর্চা শুরু করে দিয়েছিলাম আমি। কিছ♓ুদিন যেতেই কাঁধের পেশিতে শুরু হলো অসঝ্য যন্ত্রণা। ভারী ওয়েট ট্রেনিংয়ের অভ্যাস না থাকার দরুণ শরীরে তেমন জোর ছিল না আমার। অবস্থা এতটাই গুরুতর অবস্থায় পৌঁছেছিল যে শ্যুটিং চলাকালীনও অসহ্য যন্ত্রনায় ভেঙে পড়তাম আবার আমার ছোট্ট শিশুকে কোলে নেওয়ার সময়েও টের পেতাম তীব্র যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে কাঁধ।' এখানেই না থেমে তিনি আরও জানান যে ওই সময়ে যখন ধীরে ধীরে অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন তিনি সেই পরিস্থিতিতে তাঁর বড় মেয়ে পলক তাঁকে পরামর্শ দেন যে একজন ভালো ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টরের খোঁজ করতে যে ফিটনেসের পাশাপাশি নজর দেবে শ্বেতার ট্রান্সফর্মেশনেও। তাঁকে নাকি নিয়মিত মনের জোরও জুগিয়েছিলেন তাঁর বড় মেয়ে,এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। শেষপর্যন্ত এক ট্রেনারের সন্ধান পান শ্বেতা যাঁর তত্বাবধানে নিয়মিত ব্যায়াম করে যাওয়ার ফলাফল তাঁর আজকের মেদহীন আকর্ষণীয়✨ চেহারা।