মার্কিন সঞ্চালক অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে ‘ডাচেস অফ সাক্সেস’ মেগান মার্কেল ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন সেই নিয়ে তোলপাড় গোটা দুনিয়া। এই ব্যাপারে নিজের মতামত রাখলেন ভারতের অন্যতম প্রবীন টেলিভিশন সঞ্চালিকা সিমি গেরেওয়াল। ব্রিটিশ রাজ পরিবারের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেওয়ার পর প্রথমবার একসঙ্গে কোনও টেলিভিশন শো-তে হাজির হয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগ্যান।সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে হইচই ফেলে দিয়েছেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের এই দুই সদস্য, যাঁরা আপতত সাধারণ জীবনযাপন করছেন। সিমি গেরেওয়ালের কথায় মেগানের মিথ্যা দাবি করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে টক শো সঞ্চালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে সিমির, জীবনে বহু তারকার সাক্ষাত্কার নিয়েছেন তিনি নিজে। টুইটারে সিমি লেখেন, ‘আমি একটা শব্দও বিশ্বাস করছি না যা মেগান বলেছে। একটিও না। নিজেকে বেচারী প্রমাণ করবার জন্য মিথ্যা বলছে ও। বর্ণবিদ্বেষের প্রসঙ্গ টানছে সমবেদনা কুড়ানোর জন্য। শয়তান’। যদিও মেগানের সমর্থকের সংখ্যা এই মামলায় বেশি। বিশ্বের নানান প্রান্তের মানুষজন মেগানের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন, তালিকায় রয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। সিমির এই টুইটের জেরে অনেকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ভারতীয় সঞ্চালিকাকেও। পরবর্তী বয়্যাল টি-পার্টিতে কেউ তোমায় নিমন্ত্রণ করবে না, মনে করিয়ে দেন নেটনাগরিকরা। ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ মা আর শ্বেতাঙ্গ বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া মেগান জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অসহায়তাবোধ এবং হতাশা ক্রমেই গ্রাস করেছিল তাঁকে, সেইসময় আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল তাঁর। বারবার সাহায্য চেয়েও যখন কাউকে পাশে পাননি, তখন নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন মেগান মার্কেল। মেডিক্যাল হেলপ বা চিকিত্সকের পরামর্শ চেয়ে বাকিংহাম প্যালেসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তবে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এটি সম্ভব নয়। কারণ এতে রাজ পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে।হ্যারি-মেগ্যানের প্রথম সন্তানের গায়ের রঙ নিয়েও উদ্বেগে ছিল রাজ পরিবার, সেই অভিযোগও আনেন ‘দ্য ডাচেস অফ সাকসেস’। তাঁর সন্তানকে প্রিন্স খেতাব দেওয়া হবে না, সেকথাও জন্মের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল হবে দাবি করেন মেগান।