আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উ✨দ্বোধন হবে। তার আগে শ্রীরামের গান গাওয়া ও ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানিয়ে তীব্র ট্রোলে🍌র মুখে পড়লেন জাতীয় পুরস্কাপ্রাপ্ত প্লেব্যাক গায়িকা কেএস চিত্রা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, 𓆏২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠার আগে 'শ্রী রাম, জয় রাম, জয় জয় রাম' মন্ত্রটি জপ করতে এবং প্রদীপ জ্বালাতে অনুর🐻োধ করেছেন গায়িকা কেএস চিত্রা। ভিডিয়ো শেষ হয়েছে ‘লোকসমস্থ সুখীনো ভবান্তুর মাধ্যমে।’ যদিও ভিডিওটি গায়িকার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে দৃশ্যমান নয়। তবে অনেকেই গায়িকার বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুলেছেন, 'কীভাবে অযোধ্যার ইতিহাস এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কথা তিনি সহজেই ভুলে গেলেন?'
আলি সাইদ নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘কোনও ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ মেনে নিতে পারবে না। এটি একটি রাজনৈতিক অশ্লীলতা, যা ভারতের হৃদয়ে আঘাত করেছে। সেখানে ঈশ্বরের কোনো স্থꦕান নেই। আছে শুধু সঙ্ঘ পরিবারের রাজনীতি। চিত্রাকে অবশ্যই এটা বুঝতে হবে।’ অজিত নামে আরও একজন লিখেছেন, ‘আপনি আপনার পছন্দমতো যে কোনো ধর্মে বিশ্বাস করতে পারেন, তবে কথা বলার সময় সাবধানে বﷺলতে হবে।’
তবে শুধুই সমালোচনা নয়, কিছু লোকজন আবার চিত্রার পাশেও দাঁড়িয়েছেন। চিত্রার সহকর্মী গায়ক জি বেণুগোপাল বলেন, চিত্রার বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য তাঁকে আঘাত করেছে। মতপার্থক্য থাকলেও লোকজন তাঁকে ক্ষমা করে দিন। আরও 🎃একজন লিখেছেন, ‘যিনি কখনও বিতর্কে পড়েননি, এই মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়াগুলি তাঁর জন্য অত্যন্ত দুঃখের কারণ হয়েছে। গত ৪৪ বছর ধরে তিনি শুধু গানই গেয়েছেন। তিনি কখনই কোনও রাজনৈতিক বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এক্ষেত্রে চিত্রা শুধুই তাঁর এই বিশাল মন্দির এবং ౠনিজের ভক্তি থেকে কথাগুলি বলেছেন।’
এমনকি বিজেপির তরফেও গায়িকার পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। তাঁর উপর সাইবার আক্রমণের নিন্দা করা হয়েছে। BJP-র তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘গায়ক কেএ𓆉স চিত্রাজির উপর বাম-জিহাদি গোষ্ঠীগুলির সাইবার আক💖্রমণে মর্মাহত। কেরালায় পিনারাই বিজয়নের শাসনকালে এক হিন্দু অবাধে তাঁর বিশ্বাস সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন না। এটা লজ্জাজনক যে কংগ্রেসও এই আইন সম্পর্কে নীরব রয়েছে।’ রাজ্য বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ লিখেছেন, ‘আমরা বিজেপি কেরালা ইউনিট কেএস চিত্রার পাশে আছি।’
এমনকি কংগ্রেস নেতা ভিডি ❀সতীসনও চিত্রার পাশে দাঁড়িয়েছেন, বলেন, 'উনি(চিত্রা) মালায়লামেও সকলের খুব পছন্দের গায়িকা। ওঁকে ওঁর নিজস্ব মতামত জানাতে দিন। তার জন্য আমাদেরকেও তাঁর সঙ্গে সহমত হতে হবে, এমনটা তো নয়'।
প্রসঙ্গত গায়িকা কেএস চিত্রা বিভিন্ন ভাষায় ২৫ হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন। প্লেব্য♕াক গানের জন্য ৬টি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এই গায়িকা।