আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়ে পথে নেমেছে মানুষ। দফায় দফায় বিভিন্ন জায়গায় কম বেশি রোজই জমায়েত, প্রতিবাদ, মিছিল চলছে। এবার জানা গেল তেমনই এক মিছিলের নাম করেই নাকি জালিয൲়াতি করছে কিছু মানুষ! সাধারণ জনগণকে ঠকিয়ে, মানুষের 💖ইমোশনের সুযোগ নিয়ে টাকা হাতাচ্ছে! হ্যাঁ, একেবারেই তাই। আর সেই বিষয়েই এবার সবাইকে সচেতন করলেন সোহিনী সরকার।
আরও পড়ুন: ফিরছে ইন্ডিয়ান আইডল! সিজন ১৫ তে হুসেন কুয়া🎀জেরওয়ালাকে সরিয়ে সঞ্চালক ꦿহচ্ছেন কে?
কী ঘটেছে?
আগামী ১ সেপ্টেম্বর মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে আমরা তিলো🙈ত্তমা। জানানো হয়েছে সেই মিছিলে একাধিক দাবি তোলা হবে। আর এই খবর সোহিনী সরকার আগেই ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার এই মিছিলের নাম করে যে কিছু অসাধু মানুষ জালিয়াতি করছেন সেটাই প্রকাশ্যে আনলেন।
সোহিনী সরকার এদিন ত🐲াঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, আমরা তিলোত্তমা -র ১ লা সেপ্টেম্বরের মহামিছিলের নামে টাকা তোলা হচ্ছে। কাজটি কার, সেটা এখনও বুঝতে পারা যায়নি। আমাদের পক্ষ থেকে এখনো অবধি কোনো টাকা চাওয়া হয়নি, হচ্ছে না। পরবর্তীতে হলে সর্বাগ্রে আমাদের পেজ থেকে সেই আবেদন পোস্ট করা হবে।'
তিনি আরও লেখেন, 'সাবধান থাকুন। কেউ নিয়ে থাক🌌লে বা এরপর কেউ চাইলে দয়া করে আমাদের জানান।' একই সঙ্গে এই মিছিল সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থ💮াকলে সেটার উত্তর পাওয়ার জন্য দুটো নম্বরও শেয়ার করে দেন।
আরও পড়ুন: টলিউডের ওমেন্স ফোরাম আসলে 'আইওয়🌊াশ'? ক্ষোভ উগরে শ্র🔜ীলেখা কেন বললেন, 'নাটক যত'?
কী দাবি তোলা হবে এই মহামিছিল থেকে?
১ সেপ্টেম্বর যে মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়ে💖ছে সেখানে ১১টি দাবি জানানো হবে নারী নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য। এই মিছিলের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে আমরা তিলোত্তমা, আমাদের দাবি। এই মিছিলের দাবি কী কী হবে সেটাও পোস্টারে সুস্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন সোহিনী। লিখেছেন এদিন তাঁদের দাবি থাকবে, সিবিআইকে আর জি করের স্বৈরাচার ও দুর্নীতির মূল ধারক-বাহক এবং তাদের বাকি সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের দায়িত্বহীনতা এবং সেই সময়ে ঘটনাস্থলে তথ্য-প্রমাণ নষ্টের চেষ্টার জন্য তাকে ও বাকি দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষণ ও খুনের নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে নয়, সমস্ত সরকারি দপ্তরের সিন্ডিকেটরাজ সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। তৃতীয়ত, দিনে ও রাতে যেকোন সময়ে, গণপরিসরে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের চলাচলের সুরক্ষা ও সমান অধিকার চাই। চতুর্থত, নিয়ন্ত্রণ নয়, নজরদারি নয়, কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী ও প্রান্তিক লিঙ্গ যৌনতার মানুষদের সমমর্যাদা চাই। পঞ্চম, স্কুলপাঠ্যে লিঙ্গ-সাম্যর এবং মানবাধিকার বিষয়গুলিকে আবশ্যক করতে হবে। ষষ্ঠ, প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আই সি সি ও স্থানীয় এলাকায় এল সি সি করতে হবে এবং তা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ রাখতে হবে, ইত্যাদি।